আন্তর্জাতিক

হিলারি প্রেসিডেন্ট হলে বিল ক্নিনটনের ভূমিকা কী হবে?

বিগত ২৪০ বছরে আমেরিকা অনেক ফার্স্ট লেডিকে দেখেছে। তবে এবার বিশ্বের পরাক্রমশালী দেশটি হয়তো অভিনব একজন ‘ফার্স্ট লেডি’ পেতে যাচ্ছে।

আগামী নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দল থেকে সাবেক ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটনের জয় নিশ্চিত হয়েছে, এখন বাকি শুধু আনুষ্ঠানিক ঘোষণার।

নির্বাচনে হিলারির জয়ের সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করা হয়।

হিলারি জয়ী হলে তিনি হবে প্রথম নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ফলে ইতিহাস তৈরি হবে। তবে আরো একটি ইতিহাস হবে আমেরিকায়। হিলারির স্বামী সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন তখন হবেন ‘ফার্স্ট লেডি’।

আমেরিকার প্রেসিডেন্টের দিকে যেমন বিশ্বের নজর থাকে, তেমনি কম যান না তার সহধর্মিনীও।  তার ফ্যাশন, আদব কেতা, এমনকি তিনি কেমন কেক বানাতে পারেন তাও অনুসরণ করা হয়।

আমেরিকান ফার্স্ট লেডি কোনো বেতন পান না বটে, তবে তাকে রাষ্ট্রের বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজে সময় দিতে হয়। প্রেসিডেন্টকে সর্বতোভাবে সহায়তা দেয়া তার আবশ্যিক কাজের মধ্যে পড়ে।

ফার্স্ট লেডিকে জনগণের সামনে জনপ্রিয় করার জন্য তাকে অনেক বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।  হোয়াইট হাউজের আদব-কেতা বা রাষ্ট্রীয় প্রোটোকল তাকে শিখতে হয়।

প্রেসিডেন্ট পরনারীতে আসক্ত থাকলেও তার পাশে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে এমন ভঙ্গি দেখাতে হয় যে তাদের দাম্পত্য জীবন যেন রসগোল্লার মতই মিষ্টি।

কিন্তু বিল ক্লিনটনের ক্ষেত্রে বিষয়টি কেমন হবে?

তিনি ফার্স্ট লেডি হলে তাকেও কী একই নিয়ম অনুসরণ করতে হবে?

মনে রাখতে হবে, বিল ক্লিনটন দীর্ঘ আট বছর ছিলেন এ হোয়াইট হাউজের ‘রাজা’। ফলে কার এতো দুঃসাহস তাকে এসব আদব কেতা শেখাতে আসে।

হয়তো একারণে তিনি অনেকটা নির্ভার। ফলে ক্লিনটনের ব্যস্ততা এখনো ওয়াশিংটন কেন্দ্রিক হয়ে ওঠেনি। তিনি নিউইয়র্কে তার ফাউন্ডেশন নিয়েই বেশি ব্যস্ত।

হিলারি প্রেসিডেন্ট হলে বিল ক্নিনটনের ভূমিকা তাহলে কী হবে?

হিলারি বলেছেন, বিল ক্লিনটনকে ভাইস প্রেসিডেন্ট করার কথা তার মাথাতেই নেই। তবে তিনি তাকে ‘উপদেষ্টা’ বানাবেন।

বিল ক্নিনটনকে আমেরিকার সমসাময়িক সময়ের সবচেয়ে সফল প্রেসিডেন্ট ধরা হয়, অন্তত অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে।

হিলারি বলেছেন, তিনি তার স্বামীর কাছ থেকে আইডিয়া চাইবেন। আমেরিকানদের সমস্যা সম্পর্কে জানতে সারাদেশ চষে বেড়াবেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট। ক্লিনটন জানবেন দেশের সমস্যা, সমাধান দেবেন তার স্ত্রী। ফলে হিলারির জনপ্রিয়তা বাড়বে। এতে দ্বিতীয় মেয়াদেও তার জয়ের পথ সুগম হবে।

সুযোগ পেলে আরো আট বছর হোয়াইট হাউজে থাকার ইচ্ছে কার না থাকে?


এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি