আন্তর্জাতিক

অস্ট্রেলিয়ার নৌবাহিনীর নারী ক্যাডেটদের ওপর যৌন নির্যাতন

অস্ট্রেলিয়ার নৌবাহিনীর ক্যাডেটদের মধ্যে প্রশিক্ষণ শিবিরে জোর করে একে অন্যকে ধর্ষণ করতে বাধ্য করা হয়। এমন অভিযোগে তোলপাড় চলছে সেখানে। নৌবাহিনীর সাবেক এক সদস্য বলেছেন, প্রশিক্ষণ চলাকালীন এক মধ্যরাতে তাকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর যৌন নির্যাতন চালানো হয় তার ওপর। ধর্ষণ করা হয়। বৃটেনের অনলাইন ইন্ডিপেন্ডেন্ট এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়, প্রশিক্ষণ শিবিরে একে অন্যকে জোর করে ধর্ষণ করতে বাধ্য করা হয়। এ ছাড়া একজন ইন্সট্রাক্টর তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়তে বাধ্য করেন একজন টিনেজ মেয়েকে। এ জন্য তিনি আত্মহত্যা করেছেন। এসব অভিযোগ নিয়ে কাজ করছে রয়েল কমিশন। নির্যাতনের এই ধারাকে যাযাবর আচরণ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। নির্যাতনের মধ্যে রয়েছে ব্লাকমেইলিং, রয়েল ফ্লাশ। নৌবাহিনীর সাবেক এক সদস্য এসব বিষয়ে গুরুত্বর অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। তিনি নির্যাতনের যে বর্ণনা দিয়েছেন তা এখানে উল্লেখ করার মতো নয়। এমন ঘটনার শিকার হয়ে ১৫ বছর বয়সী একজন টিনেজ মেয়ে ইলেনর টিবল ২০০০ সালে আত্মহত্যা করেন। তৃতীয় একজন সাবেক সদস্য গ্রায়েম ফ্রাজার ওই কমিশনের কাছে বলেছেন, তিনি ১৬ বছর বয়সে যোগ দিয়েছিলেন নৌবাহিনীতে। এক পর্যায়ে তাকে একটি করিডোর দিয়ে দৌড়াতে বাধ্য করা হয়। তখন অন্য সদস্যরা লোহা, বুট ও অন্য ভারিবস্তু ভরা ব্যাগ ছুড়ে মারে তার দিকে। এতে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। এমন সাক্ষ্য দেয়া ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে তিনি অন্যতম। তারা সবাই ওই কমিশনের কাছে তাদের তথ্য প্রমাণ তুলে ধরবেন। ওই ব্যক্তি বলেছেন, তাকে বলা হয়েছিল নৌবাহিনীতে এটাই নিয়ম। উল্লেখ্য, ২৪০০ এমন অভিযোগের পর ২০১২ সালে গঠন করা হয় ওই কমিশন। এ পর্যন্ত তারা এ বিষয়ে ১১১ জনের কাছ থেকে তাদের ওপর অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীতে (এডিএফ) থাকা অবস্থায় যৌন নিপীড়ন, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কাহিনী শুনেছেন। এডিএফের এ শুনানির দ্বিতীয় সপ্তাহের কার্যক্রম শুরু হয়েছে মঙ্গলবার। নৌবাহিনীর ক্যাডেট প্রোগ্রামে বর্তমান সক্রিয় ২৫ হাজার সদস্য রয়েছে।