পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ দাবি করেন, আমরা ভারতকে যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানাইনি, বরং ভারতই যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে। গতকাল রোববার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিআর মুখপাত্র এই দাবি করেন।
পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, তারা যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি কঠোরভাবে মেনে চলছে।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ বলেন, আমরা নিয়ন্ত্রণ রেখায় যুদ্ধবিরতির প্রতিশ্রুতি কঠোরভাবে মেনে চলছি। কিন্তু যদি বিরোধী পক্ষ এটি লঙ্ঘন করে, তাহলে আমরাও যথাযথভাবে সেটার জবাব দেবো।
একজন ভারতীয় পাইলট পাকিস্তানের হেফাজতে রয়েছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে, সেটি সত্য নয় বলে নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান আইএসপিআর।
ব্রিফিংয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ বলেছেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই যে ভারতীয় কোনও পাইলট পাকিস্তানের হেফাজতে নেই।
ব্রিফিংকালে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা এয়ার ভাইস মার্শাল আওরঙ্গজেব আহমেদ দাবি করেছেন, সংঘর্ষ চলাকালে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ভারতীয় বেশকিছু সামরিক স্থাপনা ও “সন্ত্রাসী” প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংস করেছে।
এ ছাড়া আকাশপথের যুদ্ধে ভারতীয় বিমান বাহিনীর বিরুদ্ধে ছয়-শূন্য ব্যবধানে পাকিস্তান জয়লাভ করেছে বলেও দাবি করেন এয়ার ভাইস মার্শাল আওরঙ্গজেব আহমেদ।
আরেকদিকে, ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষে পাকিস্তান তার সামরিক শক্তির সামান্য ঝলক দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির আইএসপিআর মুখপাত্র।
“এটা মনে রাখা উচিত যে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর আধুনিক যুদ্ধক্ষমতা রয়েছে, যার মধ্যে সামান্যই ব্যবহার করা হয়েছে। বাকিটা ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে,” ব্রিফিংয়ে বলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ।
কিন্তু ভারত ও পাকিস্তানের পারমাণবিক যুদ্ধ জড়ানোটা “নিছক বোকামি হবে” বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস