আন্তর্জাতিক

এরদোগানের সাথে ছবি তুলে বিপাকে মেসুত ওজিল

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের সাথে সাক্ষাৎ করে সমালোচনার মুখে পড়েছেন জার্মানির জাতীয় দলের তারকা ফুটবলার মেসুত ওজিল, ইলকে গানদোগান ও চেঙ্ক তোসান। গত রোববার লন্ডনে তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এই তিন ফুটবলার। প্রসঙ্গত দুজনেই জার্মানিতে জন্ম নিলেও তাদের পূর্ব পুরুষ তুরস্কের। সেই সূত্রেই এরদোগানের সাথে তাদের সাক্ষাৎ। লন্ডনের একটি হোটেলে এরদোগানের সাথে তাদের সাক্ষাৎ হয়।

বর্তমানে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রবাসীদের মধ্যে প্রচারণার জন্য লন্ডন সফরে রয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। ওই ফুটবল তারকারাও ক্লাবের খেলার জন্য অবস্থান করছেন সেখানে। ওজিল খেলছেন ইংলিশ ফুটবল ক্লাব আর্সেনালে, গানদোগান খেলেন ম্যাচেস্টার সিটিতে আর তোসান খেলছেন ওভারটনে। সৌজন্য সাক্ষাৎ করে তারা তুর্কি প্রেসিডেন্টকে নিজেদের স্বাক্ষর করা জার্সি উপহার দিয়েছেন। সাক্ষাতের পর ম্যানসিটি তারকা গানদোগান টুইটারে লিখেছেন, ‘আমার সম্মানিত প্রেসিডেন্টের জন্য উপহার। তার জন্য শ্রদ্ধা।’
আগামী মাসে রাশিয়া অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপে দুজনেই অংশ নেবেন জার্মানির হয়েছে। আসরের অন্যতম শিরোপা প্রত্যাশী গতবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি।

তবে এই দুই তারকার ভুমিকায় ক্ষেপেছে জার্মান ফুটবল ফেডারেশনসহ(ডিএফবি) অনেক রাজনীতিক ও সমর্থক। অনেকেই বলছেন, এরদোগান এখন নির্বাচনী প্রচারণায় রয়েছেন। এসময় তার সাথে এই সাক্ষাৎ মানে তার নির্বাচনী প্রচারণায় সমর্থন দেয়া।
খোদ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট রেইনহার্ড গ্রিন্ডেল এ ঘটনা তার ফুটবল ফেডারেশনের মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য করেছেন। আরেক পরিচালক অলিভার বিয়েরহফ বলেছেন, এই ছবির প্রভাব কী হতে পারে সে ব্যাপারে তারা কেউ সচেতন নয়। আমরা বিষয়টি নিয়ে তাদের সাথে কথা বলবো।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ফুটবলপ্রীতি নতুন নয়। রাজনীতিকে আসার আগে এক সময় আধা পেশাদার ফুটবল খেলেছেন ইস্তাম্বুলের একটি দলের হয়ে। সব সময় ফুটবলা ভক্ত হিসেবে পরিচিত তিনি।

তবে এসব সমালোচনার জবাবে ম্যান সিটি তারকা গানদোগান এক বিবৃতিতে বলেছেন, ছাত্রদের সহায়তায় কাজ করে এমন একটি তুর্কি সংস্থার অনুষ্ঠানের ফাঁকে তারা এরদোগানের সাথে দেখা করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা কি আমাদের পরিবারের মাতৃভুমির প্রেসিডেন্টের সাথে সৌজন্যতা দেখাতে পারি না? আমাদের কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিলো না। নিছক সৌজন্য সাক্ষাৎ’।

প্রসঙ্গত গত কয়েক বছর ধরেই জার্মানির সাথে তুরস্কের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। এরদোগানের সরকারের সাথে জার্মানির বর্তমান সরকারের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। তুরস্কের গত বছরের গণভোটেও বিভিন্নভাবে বাধা সৃষ্টি করতে চেষ্টা করেছে জার্মানি।

এলএবাংলাটাইমস/আই/এলআরটি