লাইফ স্টাইল

রান্নাঘর ভাইরাসের ঝুঁকিমুক্ত রাখার ১০টি বিশেষ টিপস

আপনার রান্নাঘর থেকে শুরু করে খাবার টেবিল পর্যন্ত সব স্থান জীবাণুমুক্ত রাখার মাধ্যমেও আপনি আপনার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন। বাজার থেকে কিনে আনা দ্রব্য কতটা নিরাপদ তা আমরা কেউ জানি না। তাই আমাদের সবার সর্তক থাকা একান্ত দরকার। তাই, সংক্রমণ এড়াতে রান্নাঘরে কিছু সর্তকতা অবলম্বন করুন।

১.রান্নার সরঞ্জাম, রান্নার প্রস্তুতি পর্বের স্থান ও রান্নার স্থান হালকা গরম পানি এবং সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।

২.রান্নার আগে হাত সাবান দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ধুয়ে তারপর রান্না করুন।

৩.মাছ, মাংস, ডিম সব সময় শাক-সবজি ও ফল থেকে দূরে রাখুন।

৪.প্রবহমান পানির নিচে শাকসবজি, ফল, মাছ-মাংস ২০-৩০ মিনিট ধরে ধুয়ে নিতে পারেন।

৫.মাংসের অতিরিক্ত চর্বি ও মুরগীর চামড়া ফেলে দিন। কেননা জীবাণু এই চর্বিযুক্ত স্থানে বেশি অবস্থান করে।

৬.শাক-সবজি ও মোটা খোসাযুক্ত ফল ভিনেগার ও পানির মিশ্রণে ২০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। তারপর ঠাণ্ডা পানিতে স্ক্রাবার দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। (৯০ ভাগ পানির সঙ্গে ১০ ভাগ ভিনেগার, সঙ্গে একটু লবণ বা লেবুর রস যোগ করতে পারেন)

৭.ভিনেগার না থাকলে ২% লবণ পানিতে ৩০-৪০ মিনিট সব্জি ও ফল ভিজিয়ে রাখুন। পাতলা খোসাযুক্ত সবজি বা ফল ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন।

৮.মাছ, মাংস, মুরগী ও সবজি কাটার আগে ধুয়ে নিতে হবে এবং মাঝারি টুকরো করে কাটতে হবে, যেন খুব সহজেই ভালো ভাবে সিদ্ধ হতে পারে আবার এর পুষ্টিগুণও বজায় থাকে।

৯.মুরগী, মাংস, মাছ কাটার স্থান শাক-সবজি কাটার স্থান থেকে আলাদা রাখুন এবং ধোয়ার পর ধোয়ার জায়গা, সরঞ্জাম আবার সাবান পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।

১০.যিনি বাজার করবেন অবশ্যই গ্লাভস ব্যবহার করবেন। গ্লাভস না থাকলে অন্তত পলিথিনে হাতটা মুড়িয়ে নিয়ে তারপর বাজার করুন।

মনে রাখতে হবে, ঘরের "High Touch Area" অর্থাৎ যে সকল স্থানে আমাদের হাতের স্পর্শ বেশি থাকে সে সকল স্থান অবশ্যই পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

কোন অবস্থাতেই খাবার জিনিস সাবান পানি, ডিটারজেন্ট, ব্লিচিং পাউডার বা অন্য কোন জীবাণু নাশকারী দ্রব্য ব্যবহার করে পরিষ্কার করা যাবে না।

এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এলএস