বাংলা বছরের শেষ দিনে বাঙালির ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে চৈত্র সংক্রান্তি। আর দিনটি উপলক্ষে যে বাড়িতেই যাবেন পাতে কিন্তু উঠবে তেতো খাবার। কারণ রীতি অনুযায়ী চৈত্র সংক্রান্তির দিনে তেতো খাবার খাওয়া হয়।
অনেকেই মনে করেন এই ধরনের খাবার খেলে সারা বছর সুস্থ থাকবেন। কিন্তু শুধু তেতোই যে খাবেন তা নয়, এইদিন আরও বহু কিছু খাবার খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে বাংলার ঘরে ঘরে।
এইদিন খাবারের তালিকায় থাকে শাকসবজি-সহ সাত রকমের তেতো খাবার। চলুন দেখে নেওয়া যাক,তার তালিকা।
নিম পাতা: নিমপাতা ও চাল ভেজে এক সঙ্গে খাওয়া চৈত্র সংক্রান্তির বহু পুরনো ধারা। অনেকের ধারণা, এই খাবার খেলে সারা বছর সুস্থ থাকা সম্ভব। এতে শরীরে নানা ধরনে সমস্যা কমে বলেও মনে করা হয়।
নিরামিষ তরকারি: এইদিন বাড়িতে নানা ধরনের নিরামিষ তরকারি রান্না করেন। বিভিন্ন শাক দিয়ে এই রান্না করা হয়। এগুলিও শরীরের নানা উপকার করে বলে মনে করা হয়।
সজনে চচ্চড়ি: চৈত্র সংক্রান্তিতে অনেক বাড়িতে সজনে চচ্চড়ি রান্না হয়। তা দিয়ে যেমন অতিথিদের আপ্যায়ন করা হয়, তেমনই এটি শরীরের উপকারও করে বলে মনে করেন অনেকে।
তেতো ডাল: অনেকের বাড়িতেই এটি খুবই প্রচলিত পদ। চৈত্র সংক্রান্তিরও অন্যতম খাবার তেতো ডাল। এটিই এই উৎসবের সবচেয়ে বেশি প্রচলিত খাবার। উচ্ছে দিয়ে সাধারণত এই ডাল বানানো হয়।
গিমা শাক: গ্রামের বাড়িতে এ দিন গিমা শাক ও বেগুন দিয়ে তরকারি রান্না করেন। এই শাকও শরীরের নানা উপকার করে।
কাঁঠালের তরকারি: চৈত্র সংক্রান্তির আর একটি উল্লেখোগ্য খাবার কাঁঠালের তরকারি। কাঁচা কাঁঠালের নানা অংশ দিয়ে এই তরকারি রান্না করা হয়।
নারকেল নাডু: শেষ পাতে এ দিন অনেক বাড়িতে নারকেলের নাডু বানানো হয়। অতিথি আপ্যায়নে চৈত্র সংক্রান্তির অন্যতম অনুসঙ্গ এই খাবার। চৈত্র সংক্রান্তিতে নকশী পিঠাও বানানো হয়।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস