৩১ মে ১৯৭৯। সরকারকে রীতিমতো ‘ওপেন চ্যালেঞ্জ’ জানালেন সৈয়দা কানিজ ফাতেমা রোকসানা নামের এক নারী। তিনি লিখলেন, ‘যদি আমি পুরুষদের মধ্যে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করিতে পারি, তবে শুধু মেয়ে হয়ে জন্ম নেওয়ার জন্য আমাকে যেন আমার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা না হয়।’
এফ–২৭ বিমানের ককপিটে বসে আছেন বাংলাদেশের প্রথম মহিলা পাইলট সৈয়দা কানিজ ফাতেমা রোকসানাছবি: সুস্মীতা শারমিনের সৌজন্যে
রোকসানার এই চ্যালেঞ্জের পেছনে ছিল একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির চার শব্দের একটি বাক্য, ‘শুধু পুরুষ প্রার্থীদের জন্য’। যে বাক্য আটকে দিয়েছিল তাঁর আকাশে ওড়ার স্বপ্ন।
রোকসানার এই দাবির পক্ষে সেই সময় তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিল গোটা দেশ। সরকার পরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থেকে ‘শুধু পুরুষ প্রার্থীদের জন্য’ কথাটি তুলে নেয়। ওই বছরই পরীক্ষা দিয়ে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রাখেন রোকসানা, ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশের প্রথম নারী পাইলট হিসেবে নিয়োগ পান বাংলাদেশ বিমানে। রোকসানার এই চিঠির আগ পর্যন্ত পাইলট হিসেবে নারীদের আকাশে ওড়ার অনুমতি ছিল না। রোকসানার এই লড়াইয়ের ঠিক ১০০ বছর আগে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতে তোলপাড় তুলেছিলেন আরেক বাঙালি নারী, কাদম্বিনী বসু। যাঁর দরুন সেই সময় নারীদের জন্য কলকাতায় খুলতে হয়েছিল কলেজ। যে কলেজ পুরো এশিয়ার মধ্যে প্রথম মহিলা কলেজ বলে জানা যায়। সেখানেই ক্ষান্ত হননি, একের পর এক বন্ধ দুয়ার খুলে হয়ে ওঠেন গোটা ভারতের প্রথম নারী চিকিৎসক। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিস শুরু করেছিলেন কাদম্বিনী বসু।
এখানে রইল অবিভক্ত ভারতের প্রথম নারী চিকিৎসক কাদম্বিনীর লড়াইয়ের গল্প। বরিশালের মেয়ে
ডাকনাম বিনি, পুরো নাম কাদম্বিনী বসু। বরিশালের গৌরনদীর চাঁদশী গ্রামে কাদম্বিনীর পৈতৃক নিবাস। ব্রাহ্ম ধর্মাবলম্বী বাবা ব্রজকিশোর বসু ছিলেন বিহারের ভগলপুর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ১৮৬১ সালে কাদম্বিনীর জন্ম। চাঁদশী নাকি ভগলপুরে, সেটা নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে কাদম্বিনীর শৈশব যে ভগলপুরে কেটেছে, এটা নিশ্চিত। আর সেখানেই পড়াশোনার হাতেখড়ি। কাদম্বিনীর বাবা ব্রজকিশোর বসুর হাতেই প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতের প্রথম মহিলা সমিতি। নারীমুক্তি নিয়ে যাঁর লড়াই, তাঁর কন্যা যে ছোটবেলা থেকেই সেই দলে ভিড়বেন, এটা তো জানা কথা।
হলোও তা–ই, বাবার উৎসাহেই কাদম্বিনীর পড়াশোনার প্রতি প্রবল আগ্রহ দেখা দিল। আর তাই মাত্র ১৩ বছর বয়সে মেয়েকে কলকাতায় নিয়ে এলেন বাবা। হিন্দু মহিলা বিদ্যালয়ে ভর্তির কিছুদিন পর সেটা বন্ধ হয়ে গেলে বঙ্গ মহিলা বিদ্যালয় নামের আরেকটি বোর্ডিং চালু হলে মেয়েকে সেখানে ভর্তি করেন ব্রজকিশোর। আর এখানে পরিবারের বাইরে একা টিকে থাকার যে চ্যালেঞ্জ কাদম্বিনী নিয়েছিলেন, সেখান থেকেই তাঁর চরিত্রে দেখা দিল এক দৃঢ়তা। কলকাতায় দ্বারকানাথ গাঙ্গুলীকে শিক্ষক হিসেবে পেলেন কাদম্বিনী। পরে এই দ্বারকানাথই তাঁর জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন পাকাপাকি। কাদম্বিনী বসু হয়ে যান কাদম্বিনী গাঙ্গুলী। সেই প্রসঙ্গে পরে আসছি। পড়তে শুরু করার দুই বছরের মধ্যেই কাদম্বিনীদের এ স্কুলটিও নানা মানুষের চাপে বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলো। আর এ সময় স্কুলটিকে বেথুন স্কুলের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়।
মেয়েদের একটি ব্যাচকে এনট্রান্স পরীক্ষায় বসানোর লক্ষ্যে পড়াশোনা করাতে থাকে বেথুন স্কুল। সেই ব্যাচেরই ছাত্রী ছিলেন কাদম্বিনী। কিন্তু সেই সময়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি না থাকায় নারীদের এনট্রান্স পরীক্ষায় বসার কোনো সুযোগ ছিল না। শিক্ষকদের সঙ্গে কাদম্বিনী বসুও আওয়াজ ওঠালেন, চাইলেন পরীক্ষায় বসার অনুমতি। অবশেষে ১৮৭৭ সালের মার্চে বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের এক সভায় সেই অনুমোদন দিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু সমাজের একাংশ থেকে নারীদের এই এনট্রান্স পরীক্ষার অনুমোদন নিয়ে কটাক্ষ শুরু হলো। তবে সেই সময়ে সংখ্যায় নগণ্য হলেও ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন দ্বারকানাথের মতো আধুনিক কিছু মানুষ। ছাত্রীদের উৎসাহ দিতে লাগলেন তাঁরা। অন্যদিকে রক্ষণশীল সমাজপতিদের পক্ষ নিয়ে ‘সমাচার চন্দ্রিকা’ নামক একটি পত্রিকা সেই সময় লিখেছিল, ‘আমরা স্ত্রীশিক্ষার বিরোধী নহি। কিন্তু তাহাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধি লইয়া যে কি ফল হইবে, বলিতে পারি না। বাঙালী মেয়েরা কি বিএল পরীক্ষা দিয়া আদালতে ওকালতি করিবেন?’ পত্রিকার কর্তাব্যক্তিরা অলীক স্বপ্ন হিসেবে যে ওকালতির উদাহরণ টানলেন, তার চেয়ে ঢের ‘ভয়ংকর কাণ্ড’ যে পরের ১০ বছরে ঘটতে যাচ্ছে, সেটা হয়তো সমাজের ১০ ভাগ লোকও বুঝতে পারেননি। চন্দ্রমুখী বসু পলিটিক্যাল ইকোনমি নিয়ে পড়লেও কাদম্বিনী বেছে নিলেন গণিত। এটা এমন এক সময়, যখন খোদ ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড, কেমব্রিজের মতো বিশ্ববিদ্যালয়েও সবে নারীরা যেতে শুরু করেছেন, তবে পড়াশোনা শুরু করলেও তাঁরা সেই সময় স্নাতক ডিগ্রি পেতেন না।
যা–ই হোক, সমাজের বাধায় না থেমে অনুমতি মেলার পর জোর কদমে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে লাগলেন ছাত্রীরা। শেষ পর্যন্ত দুজন ছাত্রী প্রবেশিকা পরীক্ষায় (এনট্রান্স) বসার জন্য তৈরি হলেন। কাদম্বিনী ছাড়া অন্য যে ছাত্রী তৈরি হয়েছিলেন, তিনি সরলা দাস, ঢাকার বিক্রমপুরের বিখ্যাত আইনজীবী ও ব্রাহ্মসমাজের নেতা দুর্গামোহন দাসের মেয়ে। এর মধ্যে আবার ডা. প্রসন্নকুমার রায়ের সঙ্গে সরলার বিয়ে হয়ে গেল। বিয়ের পর পারিবারিক জটিলতায় আর পরীক্ষা দিতে পারলেন না সরলা। তাই শত শত ছাত্রের মধ্যে একমাত্র ছাত্রী হিসেবে এনট্রান্স পরীক্ষায় বসলেন কাদম্বিনী বসু। আর প্রথমবারেই রেকর্ডের খাতায় নাম ওঠালেন। মাত্র এক নম্বরের জন্য প্রথম শ্রেণি না পেলেও দ্বিতীয় শ্রেণি নিয়ে ১৮৭৮ সালে প্রথম বাঙালি নারী হিসেবে প্রবেশিকা পাস করলেন।
এফ–২৭ বিমানের ককপিটে বসে আছেন বাংলাদেশের প্রথম মহিলা পাইলট সৈয়দা কানিজ ফাতেমা রোকসানাছবি: সুস্মীতা শারমিনের সৌজন্যে
রোকসানার এই চ্যালেঞ্জের পেছনে ছিল একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির চার শব্দের একটি বাক্য, ‘শুধু পুরুষ প্রার্থীদের জন্য’। যে বাক্য আটকে দিয়েছিল তাঁর আকাশে ওড়ার স্বপ্ন।
রোকসানার এই দাবির পক্ষে সেই সময় তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিল গোটা দেশ। সরকার পরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি থেকে ‘শুধু পুরুষ প্রার্থীদের জন্য’ কথাটি তুলে নেয়। ওই বছরই পরীক্ষা দিয়ে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ রাখেন রোকসানা, ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশের প্রথম নারী পাইলট হিসেবে নিয়োগ পান বাংলাদেশ বিমানে। রোকসানার এই চিঠির আগ পর্যন্ত পাইলট হিসেবে নারীদের আকাশে ওড়ার অনুমতি ছিল না। রোকসানার এই লড়াইয়ের ঠিক ১০০ বছর আগে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতে তোলপাড় তুলেছিলেন আরেক বাঙালি নারী, কাদম্বিনী বসু। যাঁর দরুন সেই সময় নারীদের জন্য কলকাতায় খুলতে হয়েছিল কলেজ। যে কলেজ পুরো এশিয়ার মধ্যে প্রথম মহিলা কলেজ বলে জানা যায়। সেখানেই ক্ষান্ত হননি, একের পর এক বন্ধ দুয়ার খুলে হয়ে ওঠেন গোটা ভারতের প্রথম নারী চিকিৎসক। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিস শুরু করেছিলেন কাদম্বিনী বসু।
এখানে রইল অবিভক্ত ভারতের প্রথম নারী চিকিৎসক কাদম্বিনীর লড়াইয়ের গল্প। বরিশালের মেয়ে
ডাকনাম বিনি, পুরো নাম কাদম্বিনী বসু। বরিশালের গৌরনদীর চাঁদশী গ্রামে কাদম্বিনীর পৈতৃক নিবাস। ব্রাহ্ম ধর্মাবলম্বী বাবা ব্রজকিশোর বসু ছিলেন বিহারের ভগলপুর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। ১৮৬১ সালে কাদম্বিনীর জন্ম। চাঁদশী নাকি ভগলপুরে, সেটা নিয়ে বিতর্ক আছে। তবে কাদম্বিনীর শৈশব যে ভগলপুরে কেটেছে, এটা নিশ্চিত। আর সেখানেই পড়াশোনার হাতেখড়ি। কাদম্বিনীর বাবা ব্রজকিশোর বসুর হাতেই প্রতিষ্ঠিত হয় ভারতের প্রথম মহিলা সমিতি। নারীমুক্তি নিয়ে যাঁর লড়াই, তাঁর কন্যা যে ছোটবেলা থেকেই সেই দলে ভিড়বেন, এটা তো জানা কথা।
হলোও তা–ই, বাবার উৎসাহেই কাদম্বিনীর পড়াশোনার প্রতি প্রবল আগ্রহ দেখা দিল। আর তাই মাত্র ১৩ বছর বয়সে মেয়েকে কলকাতায় নিয়ে এলেন বাবা। হিন্দু মহিলা বিদ্যালয়ে ভর্তির কিছুদিন পর সেটা বন্ধ হয়ে গেলে বঙ্গ মহিলা বিদ্যালয় নামের আরেকটি বোর্ডিং চালু হলে মেয়েকে সেখানে ভর্তি করেন ব্রজকিশোর। আর এখানে পরিবারের বাইরে একা টিকে থাকার যে চ্যালেঞ্জ কাদম্বিনী নিয়েছিলেন, সেখান থেকেই তাঁর চরিত্রে দেখা দিল এক দৃঢ়তা। কলকাতায় দ্বারকানাথ গাঙ্গুলীকে শিক্ষক হিসেবে পেলেন কাদম্বিনী। পরে এই দ্বারকানাথই তাঁর জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন পাকাপাকি। কাদম্বিনী বসু হয়ে যান কাদম্বিনী গাঙ্গুলী। সেই প্রসঙ্গে পরে আসছি। পড়তে শুরু করার দুই বছরের মধ্যেই কাদম্বিনীদের এ স্কুলটিও নানা মানুষের চাপে বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হলো। আর এ সময় স্কুলটিকে বেথুন স্কুলের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হয়।
মেয়েদের একটি ব্যাচকে এনট্রান্স পরীক্ষায় বসানোর লক্ষ্যে পড়াশোনা করাতে থাকে বেথুন স্কুল। সেই ব্যাচেরই ছাত্রী ছিলেন কাদম্বিনী। কিন্তু সেই সময়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি না থাকায় নারীদের এনট্রান্স পরীক্ষায় বসার কোনো সুযোগ ছিল না। শিক্ষকদের সঙ্গে কাদম্বিনী বসুও আওয়াজ ওঠালেন, চাইলেন পরীক্ষায় বসার অনুমতি। অবশেষে ১৮৭৭ সালের মার্চে বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের এক সভায় সেই অনুমোদন দিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু সমাজের একাংশ থেকে নারীদের এই এনট্রান্স পরীক্ষার অনুমোদন নিয়ে কটাক্ষ শুরু হলো। তবে সেই সময়ে সংখ্যায় নগণ্য হলেও ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন দ্বারকানাথের মতো আধুনিক কিছু মানুষ। ছাত্রীদের উৎসাহ দিতে লাগলেন তাঁরা। অন্যদিকে রক্ষণশীল সমাজপতিদের পক্ষ নিয়ে ‘সমাচার চন্দ্রিকা’ নামক একটি পত্রিকা সেই সময় লিখেছিল, ‘আমরা স্ত্রীশিক্ষার বিরোধী নহি। কিন্তু তাহাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধি লইয়া যে কি ফল হইবে, বলিতে পারি না। বাঙালী মেয়েরা কি বিএল পরীক্ষা দিয়া আদালতে ওকালতি করিবেন?’ পত্রিকার কর্তাব্যক্তিরা অলীক স্বপ্ন হিসেবে যে ওকালতির উদাহরণ টানলেন, তার চেয়ে ঢের ‘ভয়ংকর কাণ্ড’ যে পরের ১০ বছরে ঘটতে যাচ্ছে, সেটা হয়তো সমাজের ১০ ভাগ লোকও বুঝতে পারেননি। চন্দ্রমুখী বসু পলিটিক্যাল ইকোনমি নিয়ে পড়লেও কাদম্বিনী বেছে নিলেন গণিত। এটা এমন এক সময়, যখন খোদ ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড, কেমব্রিজের মতো বিশ্ববিদ্যালয়েও সবে নারীরা যেতে শুরু করেছেন, তবে পড়াশোনা শুরু করলেও তাঁরা সেই সময় স্নাতক ডিগ্রি পেতেন না।
যা–ই হোক, সমাজের বাধায় না থেমে অনুমতি মেলার পর জোর কদমে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে লাগলেন ছাত্রীরা। শেষ পর্যন্ত দুজন ছাত্রী প্রবেশিকা পরীক্ষায় (এনট্রান্স) বসার জন্য তৈরি হলেন। কাদম্বিনী ছাড়া অন্য যে ছাত্রী তৈরি হয়েছিলেন, তিনি সরলা দাস, ঢাকার বিক্রমপুরের বিখ্যাত আইনজীবী ও ব্রাহ্মসমাজের নেতা দুর্গামোহন দাসের মেয়ে। এর মধ্যে আবার ডা. প্রসন্নকুমার রায়ের সঙ্গে সরলার বিয়ে হয়ে গেল। বিয়ের পর পারিবারিক জটিলতায় আর পরীক্ষা দিতে পারলেন না সরলা। তাই শত শত ছাত্রের মধ্যে একমাত্র ছাত্রী হিসেবে এনট্রান্স পরীক্ষায় বসলেন কাদম্বিনী বসু। আর প্রথমবারেই রেকর্ডের খাতায় নাম ওঠালেন। মাত্র এক নম্বরের জন্য প্রথম শ্রেণি না পেলেও দ্বিতীয় শ্রেণি নিয়ে ১৮৭৮ সালে প্রথম বাঙালি নারী হিসেবে প্রবেশিকা পাস করলেন।