লন্ডন

ব্রিটিশ মুসলিমরা শঙ্কিত

ব্রিটেনের রক্ষণশীল দলের একজন সাবেক মন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ব্রিটিশ মুসলিমদের শংকিত যে সরকার তাদের ধর্মের বিরুদ্ধে একটি “শীতল যুদ্ধ” চালাচ্ছে যার ফলে চরম উগ্রপন্থা বৃদ্ধি পেতে পারে। গত বছর পদত্যাগের পূর্ব পর্যন্ত ব্রিটেনের সবচেয়ে সিনিয়র মুসলিম মন্ত্রী সাইয়েদা ওয়ারসি ইন্ডিপেন্ডেন্টকে বলেন, এ সপ্তাহের গোড়ার দিকে ঘোষিত তথাকথিত অহিংস উগ্রবাদ দমনের পরিকল্পনা উল্টো ফল দিতে পারে এবং ব্রিটিশ সমাজ থেকে মূলধারার মুসলমানদের দূরে সরিয়ে দিতে পারে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, নয়ানীতি অবশ্যই সকল সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে সুসঙ্গতভাবে প্রয়োগ এবং চিন্তাকে অপরাধ কবলিত না করে সকল ধরনের উগ্রবাদকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাৎপর্যপূর্র্ণ বিষয় যে গবেষণা প্রতিষ্ঠান কুইলিয়াম ব্যারোনেস সাইয়েদা ওয়ারসির অবস্থানকে সমর্থন করেছে। কুইলিয়াম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টেরেসা মে-কে উগ্রবাদ বিরোধী নীতির ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে। সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারাস রফিক বলেন, সরকারের নয়া নীতি মুসলিম সম্প্রদায়কে নিজেদের বঞ্চিত অনুভব করার ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। ব্যারোনেস ওয়ারসি বলেন, এখনো যখন এটা একেবারেই স্পষ্ট নয় যে অহিংস সন্ত্রাসবাদের সরকারের সংজ্ঞাটি কি, এক্ষেত্রে উদ্বেগজনক লক্ষণ হচ্ছে যে এ কৌশল মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর একটি হামলা হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন যে অন্যান্য ধর্মীয় গ্রুপগুলো প্রায়শঃই এমন বিশ্বাস পোষণ করে যা উগ্রপন্থী বলে গণ্য হতে পারে, কিন্তু তা সরকারের লক্ষ্য হয় না বলেই মনে হয়। তিনি বলেন, পরীক্ষাটি হবে এই যে এটা উগ্রবাদকে সকল পন্থায় দমনের চেষ্টা কিনা বর্তমান উপলব্ধিতে যার বিরোধিতা করা হচ্ছে যে এটা ব্রিটিশ মুসলমানদের বিরুদ্ধে এটি শীতল যুদ্ধ। সরকার হ্উাজ অব লর্ডসে মারাত্মক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে। কারণ সেখানে রক্ষণশীলদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। এ সব পরিকল্পনা লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের উভয়ের বিরোধিতার সম্মুখীন হতে পারে যারা সরকারের ব্যবস্থার বিরোধী, পাশাপাশি সরকারের পক্ষ-বিপক্ষ আরো অনেকেরই যারা নাগরিক স্বাধীনতার উপর এর প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে