লস এঞ্জেলেস

স্বজনহীন মৃত ব্যক্তির পাশে অভিভাবকের ভূমিকায় বাফলা

গত ২০ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) ওরেঞ্জ কান্ট্রিতে একজন প্রবাসী বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আমেরিকায় উনার কোনো আত্মীয়-স্বজন নেই। শুধুমাত্র একজন মেয়ে উনার সাথে থাকেন। তিনিও সিঙ্গেল মাদার।  তিনি শুধু তার মা-বাবাকে নিয়ে থাকতেন। এমতাবস্থায় বাবার মৃত্যুর পর মারাত্মক অসহায় হয়ে পড়েন ঐ বোন। আপনারা জানেন, এখানে দাফন-কাফনে বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হয়।

প্রথমে ঐ এলাকার মসজিদে খবর দিলে তারা ১৮০০ ডলার সংগ্রহ করে কিন্তু এই অর্থ দিয়ে তো দাফন-কাফন সব করা সম্ভব নয়। তাই কোনো মাধ্যমে খবর পেয়ে তিনি সহযোগিতার জন্য বাফলার পাবলিক রিলেশন সেক্রেটারি আব্দুস সামাদের মাধ্যমে বাফলা চ্যারিটির কো-অর্ডিনেটর শিপার চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করেন। শিপার চৌধুরী কর্মব্যস্ততার মধ্যেও তাৎক্ষণিক নেতৃবৃন্দের সাথে জরুরি টেলিকনফারেন্স আয়োজন করেন। কনফারেন্সে সবাই ঐ বোনের সহযোগিতায় ঐক্যমত হয়ে একটি প্রতিনিধি দল প্রেরণের সিদ্ধান্ত নেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন বাফলার সাবেক প্রেসিডেন্ট জসিম আশরাফী এবং খন্দকার আলম, বর্তমান প্রেসিডেন্ট নজরুল আলম ও পাবলিক রিলেশন সেক্রেটারি ও কমিউনিটি এক্টিভিস্ট আব্দুস সামাদ।

সিদ্ধান্তের আলোকে এই প্রতিনিধিদল লস এঞ্জেলেস থেকে ১২০ মাইল দূরে ভিক্টর বিল এলাকায় গিয়ে উপস্থিত হন।

উনার দাফন সম্পন্ন করতে সর্বমোট খরচ হয় ৫২০০ ডলার। মসজিদের ১৮০০ ডলারের সাথে বাফলার পক্ষ থেকে আরও ৩৪০০ ডলার যোগ করে লাশ দাফন করা হয়। বাফলা নেতৃবৃ্ন্দ উপস্থিত থেকে যাবতীয় কাজ কাজ সম্পন্ন করেন। শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) তাকে সমাহিত করা হয়।

জানাযা ও দাফনের সময় দেখা যায়, বাফলার ৪ জনসহ আরও একজন মাত্র বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন। আর কোনো বাংলাদেশিকে সেখানে পাওয়া যায়নি। এতে বুঝা যায়, এই ফ্যামেলির অন্য কারও সাথে তেমন যোগাযোগ ছিল না। কতটা অসহায় ছিলেন তারা।

মরহুমের মাগফেরাতের জন্য বাফলার পক্ষ থেকে উনার বাসায় একটি দোয়া মাহফিলও আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাফলা নেতৃবৃন্দ।

বাফলার এমন সহযোগিতায় ঐ বোন এবং তার মা অত্যন্ত খুশি হন। আসার সময় তারা বলেন, বাফলার প্রতি আমরা আজীবন ঋণি হয়ে থাকব। আপনারা আমাদের অভিভাবকের ভূমিকা পালন করলেন। আল্লাহ আপনাদের মঙ্গল করুন।


এলএবাংলাটাইমস/এলএ/এলআরটি