লস এঞ্জেলেস

করোনাতে বন্ধ হল ক্যালিফোর্নিয়ার উচ্চ আদালত



এক অভূতপূর্ব আদেশে, ক্যালিফোর্নিয়ার প্রধান বিচারপতি সোমবার করোনভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে উচ্চতর আদালতের জুরি বিচার ৬০ দিনের জন্য স্থগিত করেন।    

প্রধান বিচারপতি তানি জি ক্যান্টিল-সাকাউয়ে তার আদেশে বলেন, “পুরো বিশ্ব, দেশ এবং রাষ্ট্র কভিড-১৯ (করোনাভাইরাসের) কারণে প্রাণঘাতী মহামারির মুখোমুখি হয়েছে”। যা ৫৮টি উচ্চতর আদালতকে প্রভাবিত করে। তিনি জানান, লোকাল আদালতগুলি অবশ্য কিছু কাজ করতে পারে। কেবল জুরি ট্রায়াল বন্ধ থাকবে।

আদালতগুলি প্রয়োজনীয় পরিষেবা হিসাবে বিবেচিত হয়। যা গভর্নর গ্যাভিন নিউসোমের হোম-অর্ডার থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত। এই কারনে অনেক সরকারী অফিস বন্ধ করার আদেশ জারি হলেও এতদিন আদালত চালু ছিল। পাশাপাশি বেশিরভাগ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

ক্যান্টিল-সাকাউয়ে বলেন, “করোনাভাইরাসের বিস্তারকে কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সামাজিক দূরত্ব পদ্ধতি। যেমন জমায়েত সীমাবদ্ধ করা, তা সাধারণ আদালতের শর্তে অত্যন্ত কঠিন”।

তিনি এই আদেশে বলেন, “আদালত কার্যক্রমের জন্য আদালতের কর্মী, মামলা-মোকদ্দমা, আইনজীবী, সাক্ষী ও জুরিগুলি জড়ো হওয়া প্রয়োজন হয়। যা বর্তমান কার্যনির্বাহী ও স্বাস্থ্য আদেশের অনুমোদিত সংখ্যারও বেশি”।

এমনকি আদালত প্রয়োজনীয় কাজ পূরণ করতে পারলেও, স্কুল বন্ধের অর্থ আদালতের কর্মচারী আসবেন না। কারন তারা দেখছে যে, স্বাস্থ্যঝুঁকির কারনে তাদের সন্তানদের স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই এমন সময়ে আদালতের কাজ কঠিন হয়ে পড়বে। প্রধান বিচারপতি আদেশে এমন কথা জানান। তিনি আরও বলেন, এসব নিষেধাজ্ঞা আদালতের পক্ষে জুরিগুলি জড়ো করা প্রায় অসম্ভব করে তুলেছে।

তার আদেশের অধীনে, পূর্বে বিচারের জন্য ‘ভাল কারণ দেখানো’ না হলে সমস্ত দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিচারের বিচার কাজ ৬০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়। তিনি জানান, প্রয়োজন হলে দূরবর্তী প্রযুক্তির মাধ্যমেও আদালতের কাজ পরিচালনা করা যেতে পারে। আদালতগুলিও ভাইরাসটির প্রভাব মোকাবেলায় অবিলম্বে এ রকম কোন পদ্ধতি গ্রহণ করার অনুমতি পেয়েছে।

লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি, দেশের সবচেয়ে ব্যস্ততম আদালত ব্যবস্থা রয়েছে। গত সপ্তাহে তিনদিন পুরোপুরি বন্ধ ছিল এর বিচার কার্যক্রম। প্রায় ৪০০ আদালত ঘর বন্ধ রয়েছে। প্রিজাইডিং জাজ কেভিন ব্রাজাইল সকল দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিচার এক মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন। যদিও তিনি আদালতে মামলা, কিছুটা সাজা এবং অন্যান্য শুনানির অনুমতি দিয়েছিলেন।

এ বিষয়ে কথা হয় লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টি জেলা অ্যাটর্নি জ্যাকি লেসির সঙ্গে। তার মতে, আদালতে বর্তমানে জামিনের সময় চাওয়ার সময় প্রসিকিউটররা একটি বিবাদীপক্ষের কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বিবেচনা করে।

/এলএবাংলা টাইমস/