লস এঞ্জেলেস

অস্ত্রের দোকান খোলার অনুমতি দিলঃ লস এঞ্জেলেস শেরিফ


প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও অস্ত্রের দোকান খোলার অনুমতি দিল লস এঞ্জেলেস কাউন্টি শেরিফ অ্যালেক্স ভিলানুয়েভা।

অবশ্য তিনি কাউন্টিতে বন্দুকের দোকান বন্ধ করার পরিকল্পনাকে সমর্থন করছেন। সামাজিক দূরত্ব জোরদার করার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন। অস্ত্রের দোকানগুলো পুরোপুরি বন্ধ না করে, আতঙ্ক দূর করতে বলেন। এবং এভাবে অস্ত্র বিক্রি কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে বেশি আগ্রহী তিনি।

মঙ্গলবার ভিলানুয়েভা বলেন, বন্দুকের দোকানগুলি সহ সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা অনুসরণ করছেন না। এমন কিছু অপ্রয়োজনীয় ব্যবসা বন্ধ করার দিকে তাকিয়ে আছেন তারা। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারী চলাকালীন উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। এতে করে অস্ত্রের দোকানগুলোর সামনে তৈরি হয় লম্বা লাইন।

কিন্তু পরের দিনেই তিনি ভিন্ন সুরে কথা বলেন। ভিলানুয়েভা স্বীকার করে নিল যে ‘সেকেন্ড এমেন্ডমেন্টে’র অধীনে ব্যক্তির সুরক্ষা ছাড়াও আইন প্রয়োগকারী কর্মীদের জন্য বন্দুক বিক্রয় প্রয়োজন।

এমন অন্যান্য ব্যবসার কথাও বলেন। যেমনঃ স্ট্রিপ ক্লাবগুলি সামাজিক দূরত্ব নির্দেশনা লঙ্ঘন করছে। তাই তাদেরও বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হবে।

শেরিফ জেলব্যবস্থা জুড়ে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি হ্রাস করার জন্যও একটি ঘোষণা দিয়েছিলেন। বিভিন্ন মেয়াদে যে সমস্ত বন্দীর মেয়াদ ৩০ দিনের কম তাদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ।  ভিলানুয়েভা জানায়, লস এঞ্জেলেস কাউন্টি জেল থেকে প্রায় ১ হাজার ৭০০ বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।

করোনাভাইরাসের উদ্বেগ আরও বেড়ে যাওয়ার কারণে গত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে লোকজন দেশব্যাপী অস্ত্র ও গোলাবারুদ সঞ্চয় করেছিল। সাউথ ক্যালিফোর্নিয়ার বেশ কয়েকটি দোকানে আকাশছোঁয়া মূল্যে বন্দুক বিক্রি হয়েছে।

মঙ্গলবারের এক সংবাদ সম্মেলনে ভিলানুয়েভা বলেন, “আমরা নির্দিষ্ট ব্যবসায়িদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়েছি যারা সামাজিক দূরত্বের প্রতি অনুগত নয়। তাদের মধ্যে অন্যতম হল বন্দুকের দোকান, নাইট ক্লাব, বার এবং স্ট্রিপ ক্লাব। কোনও ব্যবসা যখন তাদের অস্থায়ীভাবে বন্ধ করার আদেশ দেওয়া হবে তখন এটি স্পষ্টভাবেই হবে। ভিলানুয়েভা বলেছে যে, তারা আদেশ লঙ্ঘনের জন্য ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে কোনও উদ্ধৃতি জারি করেনি।

‘গান ইফেক্টস’ ও ‘ক্লাউড নাইন ফিশিংয়ে’র মালিক জানায়, সম্প্রতি তাদের অস্ত্র বিক্রি প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। অনেক অস্ত্র কিনতে আসা অনেক গ্রাহক এশীয়। কারোনাভাইরাস উদ্ভূত হওয়ার কারণে তাদের মধ্যে কিছু বর্ণবৈষম্যমূলক আচরণ হওয়ায় ভয়ে বন্দুক কিনছেন, বলে জানা যায়।

/এলএবাংলা টাইমস/