লস এঞ্জেলেস

'সেইফার অ্যাট হোম’ আদেশ চলবে ২ মাসঃ এলএ মেয়র এরিক গারসেট্টি

প্রাণঘাতী কভিড-১৯ (করোনাভাইরাসের) সংক্রমণ ঠেকাতে জরুরী অবস্থার পাশাপাশি গত সপ্তাহে ‘সেইফার অ্যাট হোম’ নামে এক নির্বাহী আদেশ জারি করে লস এঞ্জেলেস কাউন্টি প্রশাসন। 
গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে লস এঞ্জেলেস মেয়র এরিক গারসেট্টি জানান, এল এ কাউন্টির বসবাসকারীদের জন্য জারি করা, ঘরে থাকার আদেশ মে মাসের অর্ধেক পর্যন্ত চলবে। তবে এর বেশিও হতে পারে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 
এই নির্বাহী আদেশের আওতায়  সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানান এলএ নগর প্রশাসন। গত সপ্তাহে জারি হওয়া এই আদেশ আগামী এপ্রিল মাসের ১৯ তারিখ পর্যন্ত চলার কথা ছিল। 
কিন্তু লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে ক্রমবর্ধমান হারে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। আর সেই কারণেই চলমান এই নির্বাহী আদেশের মেয়াদ দ্বিতীয়বারের মতো বাড়ানো হয়। 
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব নিয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে গারসেট্টি বলেন, “আমরা মরণব্যাধী এক ভাইরাসের সাথে যুদ্ধ করছি। আমাদের সবাইকে একসাথে এই যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে”।
সংবাদ সম্মেলনে লস এঞ্জেলেস কাউন্টির সর্বশেষ করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরেন মেয়র। তিনি জানান, গতকাল পর্যন্ত এলএ কাউন্টিতে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১৩ জনে। এর মধ্যে শুধু গতকাল নতুন করে প্রাণ হারায় ৩ জন।
সেইসাথে ভাইরাসটিতে লস এঞ্জেলেসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯৯ জন বলে উল্লেখ করেন এলএ মেয়র। এর মধ্যে শুধু গতকাল নতুন করে আক্রান্ত হন ১৩৮ জন। 

এই কারণে নগর প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে মিলে জারি করে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা। প্রশাসনিক নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কাউন্টির সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান জানানো হয়। জরুরী অবস্থা জারি করা হয় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর পর থেকেই। 
ভাইরাসটির সংক্রমণ কমাতে অপ্রয়োজনীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেয় নগর কর্তৃপক্ষ। সেইসাথে সকল স্কুল, অফিস, আদালত বন্ধের পাশাপাশি নাগরিকদের প্রতি জারি করা হয় ঘরে থাকার নির্বাহী আদেশ। 
কয়দিন আগেই এই আদেশের মাধ্যমে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সকল বিনোদন ও পর্যটন স্থানগুলো। সেইসাথে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আদালত,ব্যায়ামাগার, বারসহ অপ্রয়োজনীয় সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই তালিকায়।    
/এলএবাংলা টাইমস/