লস এঞ্জেলেস

কভিড-১৯; লস এঞ্জেলেসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫৪; আক্রান্ত ৩ হাজার ১১


প্রাণঘাতী কভিড-১৯ (করোনাভাইরাসে) লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় মরণব্যাধী এই ভাইরাসে নতুন করে প্রাণ হারায় ১০ জন।


প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটিতে এখনো পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ১১ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হন ৫৪৮ জন। এর মধ্যে লং বীচ এলাকায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হন ১১৫ জন ও পাসাডেনা এলাকায় আক্রান্ত হন ২৫ জন। লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা প্রতিদিন জ্যামিতিক হারে বেড়ে চলছে।খুব দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসটিতে ‘লিটল বাংলাদেশ’ এলাকায় এখনো পর্যন্ত মারা যায় ৫ জন। গতকাল সেখানে ৩ জনের মৃতের খবর পাওয়া গিয়েছিল। তবে আজকে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এই এলাকায় প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে নতুন করে কেউ মারা যায়নি। 

আজ মঙ্গলবার কাউন্টিতে ভাইরাসটি সংক্রমণের এই তথ্য প্রকাশ করে এলএ কাউন্টি স্বাস্থ্য বিভাগ। তাছাড়া, আজ দুপুর ১.৩০ মিনিটে লস এঞ্জেলেস কাউন্টির স্বাস্থ্য পরিচালক বারবারা ফেরার জানান, এক সপ্তাহেরও কম সময়ে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটিতে মোট সংখ্যা তিনগুণ বেড়েছে। 

সেইসাথে এলএ কাউন্টিতে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে মৃতের হার এখনো পর্যন্ত ১.৮ শতাংশ বলে উল্লেখ করেন এলএ স্বাস্থ্যবিভাগের এই দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। বারবার এই মৃত্যুহারকে দেশটির জাতীয় মৃত্যুহারের চেয়ে কিছুটা বেশি বলে উল্লেখ করেন। তবে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বড় কিছু শহরের সাথে এই হার স্থিতবস্থায় রয়েছে।   

তাছাড়া, প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটিতে ক্যালিফোর্নিয়াতে এখনো পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ২৫৪ জন। আর ভাইরাসের কবলে প্রাণ হারান ১৭৪ জন। এর মধ্যে এলএ কাউন্টিতে মোট আক্রান্ত ৩ হাজার ১১ জন, মৃতের সংখ্যা ৫৪ জন। অরেঞ্জ কাউন্টিতে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে মোট আক্রান্ত ৫০২ জন, আর মারা যায় ৭ জন। রিভারসাইড কাউন্টিতে মোট আক্রান্ত ২৯১ জন, মৃতের সংখ্যা ৯ জন। সান ভারনারডিনো কাউন্টিতে মোট আক্রান্ত ১১১ জন, মৃতের সংখ্যা ৩। ভেনটুরা কাউন্টিতে মোট আক্রান্ত ১২৬ জন, মোট মারা যায় ৪ জন। আর সান ডিয়েগো কাউন্টিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬০৩ জন, মারা ৭ জন। 

আর যুক্তরাষ্ট্রে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৮০৭ জন। আর মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৯৭৮ জন। 

সম্প্রতি এলএ স্বাস্থ্যবিভাগ ও নগর প্রশাসন জানায়, কাউন্টির কোন একটি বিশেষ এলাকাকে নিরাপদ বা কম ঝুঁকিপূর্ণ মনে করার কোন কারণ নেই। যে কোন সময় যে কোন এলাকা প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। তাই কমিউনিটির সকলকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেন। নিরাপদে থাকার পরামর্শ দেন লস এঞ্জেলেস নগর প্রশাসন।

লস এঞ্জেলেস কাউন্টি ও ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসকারী সকল বাংলাদেশি বাঙালিকে নগর প্রশাসন ও স্বাস্থ্যবিভাগের নির্দেশ মেনে নিরাপদে ঘরে থাকার আহ্বান। আসুন আমরা সবাই সচেতন হই। একসাথে মিলে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধ করি। সেইসাথে লস এঞ্জেলেস কাউন্টি, ক্যালিফোর্নিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের করোনা ভাইরাসের সর্বশেষ আপডেট দেখতে চোখ রাখুন লস এঞ্জেলেসের বাংলা মুখপত্র এলএ বাংলা টাইমসে।অনুরোধে লস এঞ্জেলেস বাংলা টাইমস।