লস এঞ্জেলেস

লস এঞ্জেলেসে অনলাইনে বাড়ছে যৌন নির্যাতন


করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সবাইকে ঘরেই অবস্থান করতে হচ্ছে। শিশুরাও অনলাইনে সময় কাটাচ্ছে বেশি। লস এঞ্জেলেসের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলো জানাচ্ছে, এ সময়টাতে বেড়েছে অনলাইনে যৌন নির্যাতন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অন্যান্য অনলাইন প্লাটফর্মে যৌন হেনস্তার মতো কনটেন্ট বাড়ছে।

যৌন অপরাধেযুক্তরা মহামারির সুযোগ নিয়ে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করছে যা অনৈতিক ও ক্ষতিকর। দ্য ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লয়টেড চিলড্রেন এ সংক্রান্ত প্রায় ৪.১ মিলিয়ন  রিপোর্ট গ্রহণ করেছে শুধুমাত্র এপ্রিল মাসেই। মার্চ মাসে এ সংখ্যা ছিল ২ মিলিয়নের কিছু বেশি।

সংস্থাটির কর্মকর্তা শেহহান জানান, মহামারির এই সময়ে অনলাইনে যৌন অপরাধের মতো বিষয় সারাবিশ্বেই আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য বাড়তি চাপ হয়ে দেখা দিয়েছে।

দ্য লস এঞ্জেলেস পুলিশ ডিপার্টমেন্ট এর ইন্টারনেট ক্রাইম এগিনিস্ট চিলড্রেন ইউনিট এ সংক্রান্ত অপরাধের প্রায় তিন হাজার সুপারিশ নিয়েছে, এপ্রিলে যা মার্চে ছিল মাত্র ১৩৫৫টি। ইউনিট কমান্ডার লেফটন্যান্ট অ্যান্থনি কাটো এ তথ্য জানিয়েছেন।

পুলিশের মুখপাত্র জস রুবেনস্টাইন বলেন, এই ইউনিটের অনেককে করোনা সংকটে অন্য দায়িত্ব দিতে হয়েছে। তবে শিশুদের অনলাইনে নির্যাতন করছে এমন যে কাউকে বিচারের আওতায় আনতে পুলিশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ইন্টারনেটর নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ অ্যালিসিয়া কোয়াকেউইচ বলেন, এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হবে তা অনুমানযোগ্য ছিল। আইসোলেশনের সময়টায় শিশুরা মানসিকভাবে বেশি অনিরাপদ থাকে। অপরাধীরা এই সুযোগটা নেয়।

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও বিভিন্ন গেমিং প্ল্যাটফর্মে শিশুদের নানা প্ররোচনায় ফেলে অশালীন ছবি ও ভিডিও পাঠাতে এবং পরবর্তীতে তাদের সামাজিকভাবে হেয়, বিব্রত করতে চেষ্টা করে অপরাধীরা। এক্ষেত্রে পিতামাতার সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

/এলএ বাংলা টাইমস/এন/এইচ