লস এঞ্জেলেস

ক্যালিফোর্নিয়ার করোনা পরিস্থিতি রিপাবলিকানরা দেখছে নির্বাচনের ইস্যু হিসেবে



করোনা পরিস্থিতিতে নানা বিষয়ে দ্বিধাবিভক্ত রাজনৈতিক অঙ্গন। অর্থনীতি স্বাভাবিক করতে যেমন ব্যবসা-বাণিজ্য সচল করা প্রয়োজন। তেমনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের দায়-দায়িত্ব অনেকটাই বর্তায় ক্যালিফোর্নিয়ান গভর্নর গেভিন নিউসামের নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্তের ওপর। এদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার রিপাবলিকানরা রাজ্য সচলের বিষয়টি দেখছেন রাজনৈতিক ইস্যু হিসেবে।

অরেঞ্জ কাউন্টিতে নভেম্বরে মিশন ভিজেও কাউন্সিলম্যান গ্রেগ রাথস লড়বেন ডেমোক্রেটিক রিপ্রেজেন্টেটিভ কেটি পোর্টারের বিরুদ্ধে। কাউন্টির বিচ বন্ধে নিউসামের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি ইতোমধ্যে মামলা করেছিলেন।
গ্রেগ রাথস বলেন, অরেঞ্জ কাউন্টি এরচেয়ে বেশি কিছু দাবি করে।

এছাড়া সেন্ট্রাল ভ্যালিতে কাউন্সিলম্যান টেড হোজ ' ট্রাস্ট দ্য ভ্যালি' নামে ক্যাম্পেইন শুরু করেন। গেভিন নিউসামের কাছে তার চাওয়া কাউন্টি যেন নিজ নিরপত্তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারে।

তিনি বলেন, সেন্ট্রাল ভ্যালির শহরগুলো লস এঞ্জেলেস, সান দিয়াগো ও সান ফ্রান্সিসকো থেকে ভিন্ন। তাদের জন্য নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো এখানের বাসিন্দাদের জন্য যথাযথ নাও হতে পারে।

লাগুনা বিচে ডেমোক্রেটিক হারলি রাউডার বিরুদ্ধে লড়ছেন মিশেল স্টিল।নিউসামের ধাপে ধাপে অর্থনীতি ধীরগতিতে চালুর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন তিনি। তার মতে ব্যবসায়ীরা তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে কর্মচারী ছাঁটাই করতে বাধ্য হচ্ছেন।

যেখানে আশঙ্কা করা হচ্ছে রাজ্যে দ্রুত সবকিছুই স্বাভাবিক করে দিলে দ্বিতীয় দফায় আবার ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে সেখানে রিপাবলিকানরা ভোটারদের বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক শঙ্কার কথা জানাচ্ছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ায় রিপাবলিকানদের মতামত যেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কথারই প্রতিধ্বনি। ট্রাম্প করোনার বিরুদ্ধে জয় দাবি করে ইতোমধ্যেই রাজ্যগুলো বড় পরিসরে অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ড চালুর নির্দেশ দিয়েছেন। তবে ডেমোক্র্যাটরা ক্যালিফোর্নিয়ায় শক্তিশালী ও ট্রাম্প অজনপ্রিয়। তাই রিপাবলিকানরা করোনা পরিস্থিতিকে রাজ্যটিতে রাজনৈতিক ইস্যু করতে চাইছেন।

/এলএ বাংলা টাইমস/এন/এইচ