লস এঞ্জেলেস

কৃষ্ণাঙ্গ হত্যায় আন্দোলন: মেলরোজ ও ফেরারফ্যাক্স স্ট্রিটে সবচেয়ে বেশি লুন্ঠন



শনিবার রাতভর লস এঞ্জেলেসে বিশৃঙ্খল আন্দোলনের তাণ্ডব চলেছে। শহরের সবচেয়ে নামকরা মেলরোজ ও ফেরারফ্যাক্স স্ট্রিটে বর্ণনাতীত ভাঙচুর ও লুটতরাজ ঘটেছে। মিনেসোটায় শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার জেরে এই সহিংসতা।

শহরে ডিজাইন ও ক্লোথিং এর জন্য প্রসিদ্ধ মেলরোজ এভিনিউ। সেখানে এক ভবনে আগুন ধরিয়ে দেয় প্রতিবাদকারীরা। কয়েক ঘণ্টা ধরে ভবনটি আগুনে ভস্মীভূত হয়।

কয়েক ডজন লুণ্ঠনকারী মেলরোজ ও এডিনবার্গ এভিনিউর অ্যাডিডাস স্টোরে হামলা চালায়। তারা জুতার বাক্সে আগুন ধরিয়ে সেসব রাস্তায় ছুঁড়ে মারে।

মেল নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, এটা ভয়ংকর। তারা যেকোনো ছুতায় লুণ্ঠন করে। যা ঘটছে তা আমি সন্তানদের বলতে পারব।

তবে আন্দোলনে সহিংসতাকে সমর্থন করছেন কেউ কেউ। এলিক্সিস একুহিয়া নামের এক যুবক বলেন তিনি ভাঙচুরে যুক্ত ছিলেন না। তবে তার মতে, মাঝে মাঝে প্রতিবাদে এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করা প্রয়োজন হয়।

এছাড়া ফেয়ারফ্যাক্স এভিনিউতেও চলেছে, প্রতিবাদ, ভাঙচুর ও লুণ্ঠন। আন্দোলনকারীরা রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দেয়।

ট্রেভন ওয়াল্টন নামের ২৫ বছর বয়স্ক এক ছাত্র বলেন, অনেক শ্বেতাঙ্গরা এসব করে পুলিশকে উত্তেজিত করছে। কিন্তু দিনশেষে কালোদেরই দায়টা মাথায় নিতে হবে।

এর আগে গত ২৫ মে সন্ধ্যায় মিনিয়াপোলিস শহরে ডেরেক নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা প্রকাশ্যে রাস্তায় মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে গলা চেপে ধরেন কৃষ্ণাঙ্গ  জর্জের। তার মৃত্যুর ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হলে মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। 

চারদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে প্রতিবাদ হচ্ছে। লস এঞ্জেলেসে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা। মোতায়েন করা হচ্ছে বিশেষ সেনা।

অভিযুক্ত  ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তৃতীয় মাত্রার হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

/এলএল/ বাংলা টাইমস/এন/এইচ