লস এঞ্জেলেস

সান্তা মনিকায় লুটপাট, এখনো দেশজুড়ে বিক্ষোভ


কালোদের জীবনেরও মূল্য আছে এমন ভাবাদর্শে প্রতিবাদে মুখর রাজ্যগুলো। ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন শহরে বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি। লুটপাট হয়েছে সান্তা মনিকায়। রোববার লুণ্ঠনকারীরা সেখানের বেশি কিছু দোকান ভেঙে ফেলেও লুটপাট চালায়। অথচ কিছু দূরেই অনেককে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে দেখা গেছে।


সান্তা মনিকার অন্তত নয় জায়গায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। চারটি ভবন ও চারটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিশৃঙ্খল আন্দোলনে। দেখা গেছে বিভিন্ন শপিং স্টোরের দরজা ভাঙছেন অনেকে। মালামাল নিয়ে পালাচ্ছেন। এসব ঘটনার পিছনে কিছু নির্দিষ্ট সংঘবদ্ধ চক্রও দায়ী। বধ্য হয়ে কর্তৃপক্ষ বিকেল ৪টা পর্যন্ত কারফিউ ঘোষণা করে। 

মিনেসোটা রাজ্যের মিনিয়াপোলিসে পুলিশ হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লোয়েডের মৃত্যুর জের ধরে চলছে এই আন্দোলন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ২৮টি শহরে লাগাতার বিক্ষোভ-সমাবেশ হচ্ছে। এ পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয় ১৬টি অঙ্গরাজ্যের ২৫ শহরে। এছাড়া ১১টি রাজ্যের গভর্নররা ন্যাশনাল গার্ডস মোতায়েন করেছেন।

ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, কলোরাডো, জর্জিয়া, ইলিনয়, মিনেসোটা, নিউ ইয়র্ক, এসব রাজ্যে আন্দোলনের তীব্রতা বেশি। তাই ঘটছে পুলিশের সঙ্গে ধড়-পাকড় সংঘর্ষের ঘটনা। দোকানপাট ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ বা লুণ্ঠনের মতো ঘটনা ঘটছে। 

পুলিশ যুক্তরাষ্ট্রে জুড়ে ৪ হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে। ইন্ডিয়ানাপলিসে বিক্ষোভ চলাকালীন তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। এর মধ্যে একজন নিহত হয়েছে। ল্যুভেলে মারা গেছেন আরও একজন। পুলিশ আহত হয়েছেন প্রায় সব রাজ্যেই।

এসবের সঙ্গে আরও যুক্ত হয়েছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি। কারফিউ অমান্য করেই মানুষ রাস্তায় নেমে আসছেন। তাই আবারও দ্রুত করোনা সংক্রমণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনলাইনেও চলছে আন্দোলন। ব্ল্যাক লাইভ মেটার্স হ্যাশট্যাগে টুইটার ফেসবুকে মানুষজন সরব রয়েছেন। জর্জ ফ্লোয়েডের ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে প্রতিবাদ হিসেবে।

প্রসঙ্গত গত ২৫ মে সন্ধ্যায় মিনিয়াপোলিস শহরে ডেরেক নামের এক পুলিশ কর্মকর্তা প্রকাশ্যে রাস্তায় মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে গলা চেপে ধরেন জর্জের। তার মৃত্যুর ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হলেও মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে তৃতীয় মাত্রার হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।


এলএ/বাংলা টাইমস/এন/এইচ