লস এঞ্জেলেস

প্রতিবাদ, ভাঙচুর-লুণ্ঠন, লস এঞ্জেলেসে গ্রেফতার ২১০০


মিনেসোটার মিনিয়াপোলিসে পুলিশি হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লোয়েডের মৃত্যুর প্রতিবাদে সপ্তাহধরে যুক্তরাষ্ট্রে চলছে আন্দোলন। কোথাও কোথাও আন্দোলন রূপ নিয়েছে সহিংসতায়।  এ পর্যন্ত প্রতিবাদ ভাঙচুর ও লুণ্ঠনের ঘটনায় লস এঞ্জেলেসে অন্তত ২১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।


অধিকাংশ গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে লস এঞ্জেলেস শহরে। পুলিশ ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র রোজারিও সার্ভেন্টেস জানান, শুধুমাত্র রোববারেই গ্রেফতার হন ৭০০ জন। এর আগের দুদিনে গ্রেফতার করা হয় ৯৩১ জনকে।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বিভিন্ন অপরাধে যুক্ত থাকায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে লুণ্ঠন, পুলিশের ওপর চড়াও হওয়া, ভাঙচুর, কারফিউ আইন না মানা। এমনকি হত্যাচেষ্টায়ও গ্রেফতার হয়েছেন অন্তত একজন।

শনিবার ও রোববার দুদিনই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নেয়।  ফেয়ারফ্যাক্স ডিস্ট্রিক্ট, লং বিচ ও সান্তা মনিকায় সবচেয়ে বেশি সহিংসতার ঘটনা ঘটে। দোকানে লুটপাট ও আগুন দেওয়া হয়। সিটিগুলোর নেতারা এসব ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেন। দোকান মালিকদের অশ্রুসিক্ত দেখা যায়।

নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় লস এঞ্জেলেস পুলিশ চিফ মিশেল মুর ব্যবসায়ীদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, মেলরোজ এভিনিউতে অন্তত ৮৮টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ২ হাজার ন্যাশনাল গার্ড সেনা মঙ্গলবার শহরের নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হবে।

রোববার লস এঞ্জেলেস কাউন্টি সন্ধ্যা ৬টা থেকে সবাইকে ঘরে অবস্থান করতে নির্দেশ দেয়। কাউন্টিজুড়ে কারফিউ কার্যকর হওয়ার আগে দু ঘণ্টা সময় দেওয়া হয় বাসিন্দাদের।

কাউন্টি শেরিফ অ্যালেক্স ভিলুয়েনেভা আশঙ্কা জানিয়ে বলেছেন, করোনার এই সময়ে লুটপাট ও বিশৃঙ্খলা মহামারির আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দেবে।

এলএ/বাংলা টাইমস/এন/এইচ