লস এঞ্জেলেস

কারফিউ-আন্দোলন দুটোই চলছে ক্যালিফোর্নিয়ার বিভিন্ন শহরে


জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর জের ধরে উত্তপ্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কারফিউ দিয়েও মানুষকে আন্দোলন থেকে নিবৃত্ত করা যাচ্ছে না। ক্যালিফোর্নিয়ার লস এঞ্জেলেস, ওকল্যান্ডসহ বিভিন্ন শহরে আন্দোলন সচল রয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে কোথাও কোথাও।

 রোববার লস এঞ্জেলেসে অন্তত ৭০০ জনকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি বেড়েছে হলিউড, ভ্যান নাউসসহ বিভিন্ন এলাকায়। কিছু কিছু স্থানে চলেছে ভাঙচুর, লুটপাট। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বেশকিছু আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে বেশিরভাগ আন্দোলনই ছিল শান্তিপূর্ণ। 

স্থানীয় এক ওষুধ দোকানি বলেন, তার দোকান ভেঙে অর্থ ও ওষুধ নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি সিকিউরিটি ক্যামেরা দিয়ে দেখেছেন ১০ জন যুবক এই ঘটনায় জড়িত। তিনি জানান এখানে কিছুই করার নেই। তারা সরকার ও পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ।

এদিকে কারফিউ আইন লঙ্ঘন করায় ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ডে ৪০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৬৮০ ওয়ালনাট ক্রিকে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। তবে আন্দোলনকারীরা পুলিশের পাকড়াওতে পড়ে। ছোঁড়া হয় রাবার বুলেট। পুলিশের দাবি কিছু বিক্ষোভকারী গাড়ি ভাঙচুর করেছে।

দ্য আলামেদা কাউন্টি শেরিফ অফিস টুইটে জানিয়েছে ১০০ এরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখন ঘরে ফিরে যাওয়ার সময় হয়েছে। সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়ার অন্তত এক ডজনেরও বেশি এলাকায় রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়।

গত ২৫ মে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপলিসে পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েড কৃষ্ণাঙ্গ নির্মমভাবে নিহত হন। এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় বিক্ষোভ। ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় চার পুলিশ কর্মকর্তাকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার দেরেকের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে হত্যার অভিযোগ।


এলএ/বাংলা টাইমস/এন/এইচ