লস এঞ্জেলেস

ক্যালিফোর্নিয়ায় নিয়ন্ত্রণে আসছে করোনা সংক্রমণ

ক্যালিফোর্নিয়ায় করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঢেউ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা মনে করছেন, এক শতকের মধ্যে হওয়া সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসংকটের এবার উন্নতি হতে পারে। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) রাজ্যজুড়ে আক্রান্ত হয়েছে ২৪ হাজার ১১১ জন বাসিন্দা। এটি আগের দিনের আক্রান্তের সংখ্যা থেকে ৬২০ জন কম। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা কমতে থাকার পাশাপাশি গত সাতদিনের আক্রান্তের গড় কমেছে। গত সপ্তাহে দৈনিক করোনা আক্রান্তের গড় ছিলো ২৯ হাজার ১১২ জন। এবার সেই গড় নেমে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৪০৫ জনে। ডিসেম্বরের ১১ তারিখের পরে এটিই সর্বনিম্ন দৈনিক গড় আক্রান্তের সংখ্যা। ক্যালিফোর্নিয়ায় মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৩০ লাখের বেশি বাসিন্দা আক্রান্ত হয়েছে। শুরুতে সংক্রমণ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও নভেম্বরের পর থেকে আবার সংক্রমণ বেড়েছে ভয়াবহভাবে। আক্রান্তের সংখ্যার সাথে সাথে কমেছে শনাক্তের সংখ্যাও৷ শনাক্তের হার আগের তুলনায় ১৫ শতাংশ কমেছে। শনাক্ত কমে যাওয়ায় হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যাও কমে গেছে। ইতোমধ্যে হাসপাতালে করোনা রোগীর সংখ্যা ১৯ হাজারে নেমে এসেছে। গত দুই সপ্তাহের আগের থেকে এটি ১০ শতাংশ কম। এদিকে, করোনায় ক্যালিফোর্নিয়ার অন্যতম বিপর্যস্ত কাউন্টি লস এঞ্জেলেসে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চলতি মাসের প্রথম ২৪ দিনে মারা গেছে পাঁচ হাজার বাসিন্দা। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে করোনায় মারা গেছে ২৬৯ জন বাসিন্দা। আক্রান্ত হয়েছে আরো ১০ হাজার ৫৩৭ জন বাসিন্দা। করোনার শুরু থেকে এখন পর্যন্ত লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে মৃতের মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫ হাজার ১৬২ জনে। আর এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৮৭ জন। লস এঞ্জেলেস কাউন্টি হেলথ ডিপার্টমেন্ট সূত্র মতে, মার্চ মাসে করোনার শুরু থেকে গত বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত মারা গিয়েছিলো ১০ হাজার বাসিন্দা। এদিকে চলতি মাসেই করোনায় মারা গেছে আরো ৫ হাজার বাসিন্দা। ২৪ দিনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১০৬ জন বাসিন্দা। শনিবার মৃতদের মধ্যে ৬২ শতাংশ বাসিন্দার বয়স ছিলো ৬৫ বছর ও তার বেশি। ফলে দ্রুত বয়স্ক নাগরিকদের টিকাদান কর্মসূচির বাসিন্দাদের টিকা দেওয়া জরুরি হয়ে উঠেছে। লস এঞ্জেলেস কাউন্টির স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তির সংখ্যা আগের থেকে কিছুটা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮৮১ জনে। এর মধ্যে ২৪ শতাংশ রোগীকেই জরুরি বিভাগে ভর্তি রাখতে হয়েছে৷ এলএবাংলাটাইমস/ওএম