লস এঞ্জেলেস

ক্যালিফোর্নিয়ায় রাজ্যের কর্মীদের টিকার সনদ লাগবে

রাজ্যের সকল কর্মী ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ভ্যাকসিন ভ্যারিফিকেশন এবং টেস্টিং প্রোগ্রাম চালুর ঘোষণা দিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গেভিন নিউসাম ও রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। আগস্ট মাস থেকে এই নিয়ম চালু হচ্ছে। কর্মীদের আগামী আগস্টের ২ তারিখ থেকে টিকা নেওয়ার প্রমাণ সংগ্রহে রাখতে হবে। যেসব কর্মী টিকা গ্রহণ করেননি, তাদের করোনা পরীক্ষা করা হবে এবং মাস্ক পরতে হবে। রাজ্যের এই নিয়মকে স্বাগত জানিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও কর্মী সংগঠনগুলো। স্যাক্রামেন্টোর ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ সার্ভিসেস এর কর্মী জোশ স্টুয়ার্ট বলেন, 'এটি খুবই সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত৷ টিকা যে নিরাপদ, সেই বিষয়ে আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে'। নতুন ভ্যাকসিন ভ্যারিফিকেশন প্রোগ্রামটি হেলথ কেয়ার ওয়ার্কারদের উপরেও প্রযোজ্য হবে৷ স্বাস্থ্য কর্মীদের মধ্যে কেউ যদি টিকা গ্রহণ না করেন, তবে তাদের প্রতি সপ্তাহে দুইবার করোনা টেস্ট করাতে হবে। যারা টিকা গ্রহণ করেনি, তাদের এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। রাজ্যের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আগামী আগস্টের ২৩ তারিখের মধ্যে সকল কর্মীদের টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে৷ গেভিন নিউসাম বিবৃতিতে জানান, 'রাজ্যে ২ লাখ ৪৬ হাজার কর্মী রয়েছে। এদের সবারই টিকা গ্রহণ করা উচিত'। এখন পর্যন্ত ক্যালিফোর্নিয়ার ৭৫ শতাংশ বাসিন্দা টিকার এক ডোজ হলেও গ্রহণ করেছেন। তবে ২৫ শতাংশ এখনো টিকা গ্রহণ করেনি বিধায় সংক্রমণ
আরো বাড়ছে। সোমবার (২৬ জুলাই) রাজ্যজুড়ে করোনায় মোট মারা গেছেন ৬৫ জন বাসিন্দা। ক্যালিফোর্নিয়ার হেলথ সেক্রেটারি ড. মার্ক ঘ্যালি বলেন, 'রাজ্যের মোট সংক্রমণের ৮৩ শতাংশ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে হচ্ছে। এটি মারাত্মক মরণঘাতী এক ভ্যারিয়েন্ট'। তবে এখন পর্যন্ত অন্যান্য সময়ের থেকে করোনায় মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। জুলাই মাসের ৩ তারিখ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত সংক্রমণের হার বেড়ে গেছে অন্তত ১৩৫ শতাংশ। ফেরের বলেন, 'ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের কারণে গুরুতর অসুস্থতা এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়া থেকে রক্ষা পেতে টিকা নেওয়ার বিকল্প নেই'। শুক্রবারে কাউন্টিতে গড় শনাক্তের হার ছিল ৫ দশমিক ২ শতাংশ। বৃহস্পতিবারেও শনাক্তের হার কাছাকাছিই ছিল। এর এক মাস আগে শনাক্তের হার ছিল মাত্র দশমিক ৭ শতাংশ। গত এক মাস ধরে লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট যুক্তরাষ্ট্রে প্রধান সংক্রামক হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে মার্চের পর টানা সর্বোচ্চ শনাক্তের হার বেড়ে গেছে। কাউন্টি পাবলিক হেলথ ডাটা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১৮ থেকে ৪৯ বছর বয়েসী বাসিন্দাদের মধ্যে সংক্রমণ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবারে শনাক্তদের মধ্যে ৭১ শতাংশ বাসিন্দাই তরুণ ও মধ্যবয়েসী। এলএবাংলাটাইমস/ওএম