লস এঞ্জেলেস

ক্যালিফোর্নিয়ায় গাঁজা চাষে পানির উপর নেতিবাচক প্রভাব

ক্যালিফোর্নিয়ায় গাঁজা চাষ ও ব্যবহারকে বৈধ করার সিদ্ধান্তটি সাম্প্রতিক কালের অন্যতম যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত করা হয়। এককালের অবৈধ এই শিল্পটি এখন একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক খাতে পরিণত হচ্ছে। বৈধকরণের পর পরিবেশ ও পানিসম্পদের ওপর গাঁজা চাষের প্রভাব নিয়ে অনেক গবেষণা হচ্ছে। এরকম এক গবেষণা চালাচ্ছেন ইউসি বার্কলির ক্যানাবিস রিসার্চে সেন্টারের কো-ডিরেক্টর ভ্যান বাসটিক ও টেড গ্রান্থাম। তাদের গবেষণার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে রাজ্যের পানিসম্পদের ওপর গাঁজা চাষ কিভাবে প্রভাব ফেলে। রাজ্যে উপস্থিত গাঁজা ফার্মের কথা জিজ্ঞেস করা হলে ভ্যান বাসটিক জানান, বর্তমানে রাজ্যে ৮ হাজারের অধিক বৈধ গাঁজা ফার্ম আছে। কিন্তু অবৈধ ফার্মের সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি। তিনি জানান, শুধুমাত্র হাম্বোল্ট এবং মেন্ডোসিনো কাউন্টিতেই ১৫ হাজারের অধিক অবৈধ ফার্ম আছে। অবৈধ ফার্মগুলো বৈধ ফার্মগুলোর তুলনায় আকারে ক্ষুদ্র হয়ে থাকে। তারা জানান, ক্যালিফোর্নিয়ার কৃষিখাতে ব্যবহৃত মোট পানিসম্পদের খুব ক্ষুদ্র ভাগ গাঁজা চাষে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু তারা আরো জানান যে গাঁজা চাষে পানির ব্যবহার নিয়ে তারা চিন্তিত। বেশিরভাগ গাঁজার ফার্মই নির্জন ও দূরের জলাশয়ের নিকটবর্তী স্থানে অবস্থিত। ওই সকল স্থানে সংবেদনশীল উদ্ভিদ জন্মায়। তাই, সেদিকে সেচকাজের জন্য পানির ব্যবহার ওই স্থানের বাস্তুতন্ত্রে প্রভাব ফেলে। তারা জানান যে বিভিন্ন নিয়মকানুনের মাধ্যমে বৈধ গাঁজা ফার্মে ব্যবহৃত পানির পরিমাণ কমানো হয়েছে। ঝর্ণা থেকে পানি উত্তোলনের জন্য নিদিষ্ট সময় ও পানি মজুদ করে তা ব্যবহার করার মাধ্যমে পানির অপচয় রোধ করা যায়। অবৈধ ফার্মগুলো এই সকল নিয়ম মেনে চলতো না। বৈধ ফার্মগুলো এসব নিয়ম মেনে চলায় পানির অপচয় রোধ করে। পরবর্তীতে তারা পানির গুনমানের ওপর অবৈধ গাঁজাচাষের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। তারা জানান, এখনো রাজ্যের জলাশয়গুলোতে উচ্চমাত্রায় দূষণকারী পদার্থ দেখা যায়নি। কিন্তু, তারা অবৈধ গাঁজা চাষে ব্যবহৃত ক্ষতিকর কীটনাশক ও পানির ওপর এর প্রভাব নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। ভ্যান বাসটিক বলেন, ‘গাঁজা চাষ বৈধ করে দেওয়ার ফলে আমরা এখন অতি সহজেই এই সকল বিষয় নিয়ে গবেষণা করতে পারি। আগামী পাঁচ বছর গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার পর আমরা আরো নতুন তথ্য জানতে পারব। তারা জানান যে, অধিকাংশ কৃষকই পরিবেশগত নিয়মকানুন সমর্থন করে। কিন্তু, অধিকাংশ নিয়মকানুন পূরণ করা কঠিন ও ব্যয়বহুল। পরিবেশগত নিয়মকানুন পালন করাকে সহজ করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। এলএবাংলাটাইমস/এমডব্লিউ