লস এঞ্জেলেস

ডিক্সি ফায়ার: এখনো নিয়ন্ত্রনে আসেনি ইতিহাসের দ্বিতীয় বৃহত্তম দাবানলটি

এখনো দাবানলে জ্বলছে নরদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার গ্রিন ভিলে। ডিক্সি ফায়ার খ্যাত এই দাবানলটি রাজ্যের ইতিহাসে দ্বিতীয় বৃহত্তম দাবানল হয়ে উঠেছে। দাবানল নিয়ন্ত্রণে রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন দমকল বাহিনী। দ্য ডিক্সি ফায়ারে গ্রিনভিলের ঐতিহাসিক গোল্ড রাশ টাউনের প্রায় পুরোটা পুড়ে গেছে। কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, আগুনটি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে আরো এক সপ্তাহ সময় লেগে যাবে। বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যে অন্তত ১১টি দাবানল সক্রিয় রয়েছে। আসন্ন দিনগুলোতে তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে দাবানলের আগুন নিয়ন্ত্রণে দমকল কর্মীদের কাজ করতে হবে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দ্য ডিক্সি ফায়ারের সূত্রপাত হয় ১৩ জুলাই। এখন পর্যন্ত এর আগুনে ৪ লাখ ৬৩ হাজার একর জমি পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে। দমকল কর্মীদের একান্ত চেষ্টায় গত কয়েকদিনে মাত্র ২১ শতাংশ আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এর আগে গত বছরের আগস্টে শুরু হওয়া কমপ্লেক্স ফায়ার ক্যালিফোর্নিয়ার ইতিহাসে সর্ববৃহৎ দাবানল। সেই দাবানলে ১ মিলিয়ন একর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দ্য ডিক্সি ফায়ার এর প্রভাবে এখন পর্যন্ত তিনজন নিখোঁজ রয়েছে। হাজার হাজার বাসিন্দাকে ইতোমধ্যে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ বাড়ি ছেড়ে তাঁবুতে বাস করছেন। পুমাস কাউন্টির ৩৯ শতাংশ বাসিন্দাকে অন্যত্র সরে যেতে বলা হয়েছে। গত বুধবার গ্রিনভিলে গ্রাস করার পর এবার দাবানলের আগুন গ্রিনভিলের তিন মাইল দক্ষিণ-পূর্বের ছোট শহর ক্রিসেন্ট মিলসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। হুমকির মুখে রয়েছে এই ছোট শহরটি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আর্দ্রতা কম থাকায় আগুন খুব দ্রুত এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছড়িয়ে যাচ্ছে। ডিক্সি ফায়ার নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে ৫ হাজার দমকল কর্মী নিয়োজিত আছেন৷ ক্যাল ফায়ারের মুখপাত্র এডউইন যুনিগা বলেন, 'এমন ভয়াবহ আগুন আমাদের সবচেয়ে পুরাতন কর্মীরাও কখনো প্রত্যক্ষ করেনি'। ন্যাশনাল ইন্টারএজেন্সি ফায়ার সেন্টার সূত্র জানায়, ১৫টি রাজ্যে এখনো সক্রিয় দাবানল রয়েছে। ১০৭টি ছোট-বড় আগুনে পুড়ছে দুই মিলিয়ন একরের বেশি জমি। যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিমা রাজ্যগুলোতে আগামী গ্রীষ্ম এবং বসন্তজুড়ে আরো বেশ কয়েকটি দাবানলের সূত্রপাত হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷ শনিবার (৭ আগস্ট) ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গেভিন নিউসাম বলেন, 'আমাদের স্বীকার করতে হবে যে এই দাবানলগুলো পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে হচ্ছে'। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলেভযে উষ্ণতা ও গরম শুরু হয়েছে, এর ধারাবাহিকতায় দাবানল সৃষ্টি হচ্ছে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল যুগ শুরু হওয়ার পর থেকে পৃথিবীর তাপমাত্রা ১ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস বেড়ে গেছে। বৃহৎ ভোক্তা দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ না কমালে দাবানল পরিস্থিতি আরো অবনতি হবে। এলএবাংলাটাইমস/ওএম