লস এঞ্জেলেস

ডালাস কাউন্টি জজ ও রাজ্যের গভর্নরের দ্বন্দ, ঝুঁকিতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা

দেশজুড়েই বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনার হার। বড়দের পাশাপাশি বাচ্চারাও আক্রান্ত হচ্ছে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে। যার ফলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া মানুষের সংখ্যাও বাড়ছে দ্রুতহারে। শুক্রবারে টেক্সাস রাজ্যের ডালাস কাউন্টির জজ ক্লে জেনকিন্স জানান যে কাউন্টির হাসপাতালগুলোতে বাচ্চাদের জন্য আর কোন আইসিইউ বেড ফাঁকা নেই। জেনকিন্স বলেন, ‘আপনার বাচ্চা করোনা আক্রান্ত হোক বা অন্য কোন মরণঘাতী রোগে আক্রান্ত হোক, আমরা তাকে আইসিইউতে জায়গা দিতে পারবো না। আপনার বাচ্চাকে আইসিইউতে ভর্তি করতে হলে আরেকজন বাচ্চার মৃত্যুর জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতে হবে। আমরা সর্বোচ্চ আপনার বাচ্চাকে ওকলোহামা সিটি কিংবা অন্য কোন জায়গার হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারবো। কিন্তু এদিকে ভর্তি করতে পারব না।‘ টেক্সাস রাজ্যের ডিপার্টমেন্ট অফ হেলথ সার্ভিসেস জানায়, চিকিৎসা কর্মীদের সংখ্যা কমে যাওয়া বাচ্চাদের জন্য আইসিইউ সিট কমে যাচ্ছে। সপ্তাহের শুরুতেই টেক্সাস রাজ্যের গভর্নর গ্রেগ এবোট ঘোষণা দেন যে ২ হাজার ৫০০ এর বেশি স্বাস্থ্যকর্মীদেরকে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হবে করোনা রোগীদের সেবার জন্য। রাজ্যে বর্তমানে ১১ হাজার ২০০ জন ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। পুরো রাজ্যজুড়ে মাত্র ৩২৩টি আইসিইউ বেড খালি আছে। জুলাই মাসে এবোট ঘোষণা দেন যে কোন সরকারি সংস্থা বা স্কুল ডিস্ট্রিক্ট বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহারের আদেশ দিতে পারব না। টেক্সাস রাজ্যের অন্যান্য কাউন্টির মত ডালাস কাউন্টিও এই মাসে গভর্নরের বিরুদ্ধে মামলা করেছে যাতে তাঁরা বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহারের আদেশ দিতে পারে। মঙ্গলবারে জজ টনিয়া পার্কার জানান যে গভর্নরের সিদ্ধান্তের কারণে ডালাস কাউন্টির জনগণ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। তিনি আরো জানান যে কাউন্টি জজ জেনকিন্স জনগণের কল্যাণের জন্য নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। বুধবারে জেনকিন্স একটি জরুরী আদেশ জারি করেন যার কারণে কাউন্টির বিভিন্ন পাবলিক স্পেসগুলোতে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। শুক্রবারে সকালে তিনি বলেন, ‘আমাদের হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যব্যবস্থার  বিশ্রাম ও সময় প্রয়োজন। না হলে আমাদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙ্গে পারবে।‘ গভর্নর এবোট ও টেক্সাসের অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটন কাউন্টির সিদ্ধান্তকে আটকানোর জন্য একটি প্যাটিশন চালু করেছে।  প্যাক্সটন বলেন, ‘এটি প্রথমবার ঘটেনি। মহামারীর শুরু থেকেই অনেক জজ সস্তা আকর্ষণের জন্য রাজ্যের আদেশ অমান্য  করেছে। আমরা আশা করি, আদালত আমাদের পক্ষেই রায় দিবে।‘ জেনকিন্স জানান যে রাজ্যে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবের কারণে এখন অবস্থা আগের চেয়ে গুরুতর। তিনি বলেন, ‘এটি এখন গভর্নর এবোটের সাথে স্থানীয় ডেমোক্রেট নেতাদের লড়াই নয়।‘ তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সবাই জনগণের স্বাস্থ্য রক্ষার পক্ষে। সবাইকে বুঝতে হবে যে, ভাইরাসটি এখানে মূল শত্রু। আমরা একে অপরের শত্রু নই।‘ এলএবাংলাটাইমস, এমডব্লিউ