লস এঞ্জেলেস

করোনার কারণে এক সপ্তাহে অনুপস্থিত সাড়ে ৬ হাজার শিক্ষার্থী

করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হবার কারণে লস এঞ্জেলেস ইউনিফাইড স্কুল ডিস্ট্রিক্টের ৬ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী স্কুল খোলার প্রথম সপ্তাহে এক বা একাধিক দিন ক্লাসে উপস্থিত হতে পারেনি। স্কুল খোলার পূর্বে বা স্কুল খোলার প্রথম সপ্তাহে করোনা পজিটিভ হওয়ায় ৩ হাজার শিক্ষার্থীকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের আশে-পাশে অবস্থান করায় আরো ৩ হাজার ৫০০ ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। লস এঞ্জেলেসের পাবলিক স্কুলগুলোতে মোট ৪ লাখ ৫১ হাজার শিক্ষার্থী প্রিস্কুল থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করছে। এর বাইরে আরো ১০ হাজার শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করছে। স্কুলগুলোতে কর্মরত ৬০ হাজার কর্মচারীদেরও পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার কর্মচারী করোনা আক্রান্ত বা করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির কাছে অবস্থান করায়, তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এলএ ইউনিফাইড কর্মকর্তারা বলেছেন যে ক্যাম্পাসে ক্লাস শুরু হবার পর একজনের মাধ্যমে আরেকজন করোনা আক্রান্ত হয়েছে এরকম কোন ঘটনা তাদের জানা নেই। এই দাবিকে অনেক অভিভাবকই প্রশ্ন করছেন। এই মুহূর্তে, লস এঞ্জেলেস কাউন্টি স্বাস্থ্য বিভাগের সম্ভাব্য প্রাদুর্ভাব সহ স্কুলগুলির তালিকায় কোনও এলএ ইউনিফাইড ক্যাম্পাস নেই। দ্য টাইমসের অনুরোধের কারণে এবং মঙ্গলবার শিক্ষা বোর্ডের কাছে একটি উপস্থাপনার অংশ হিসাবে ডিস্ট্রিক্টটি তথ্য প্রকাশ করেছে। সামগ্রিকভাবে, এই অনুপস্থিতির প্রভাব দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্কুল ব্যবস্থা জুড়ে তুলনামূলকভাবে ক্ষুদ্র পরিসরে ছিল। প্রতি ৭০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ১ জন আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইনে অবস্থান করছিলো। এপর্যন্ত ডিস্ট্রিক্টটির ২ হাজার শিক্ষার্থী ও ২০০ কর্মচারী  করোনা আক্রান্ত হয়েছে। ডিস্ট্রিক্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছে যে এই সংখ্যা প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। ডিস্ট্রিক্টটি স্কুলের প্রথম সপ্তাহের ইনফেকশন রেট প্রকাশ করেছে। প্রথম সপ্তাহে ১ হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৬ জন ও ১ হাজার কর্মচারীদের মধ্যে ৪ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। ইনফেকশনের রেট আগের চেয়ে ধীরে ধীরে কমছে। এর পূর্বে ১ হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮ জন করোনা আক্রান্ত ছিলো বলে তথ্য পাওয়া গিয়েছিলো। এলএ ইউনিফাইড সোমবারে তাদের নিয়ম পরিবর্তন করেছে। এর পূর্বে যেসকল শিক্ষার্থীরা কোন করোনা রোগীর সংস্পর্শে এসেছে, তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হতো। নতুন নিয়ম অনুসারে, কোন টিকাগ্রহণকারী শিক্ষার্থী যদি কোন করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসে, তাহলে তাঁর মধ্যে করোনা লক্ষণ দেখা না দিলে তাকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে না। স্কুল বোর্ড মেম্বার নিক মেলভোইন বলেন, ‘আমি আনন্দিত যে ডিস্ট্রিক্টজুড়েই বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যনীতি অনুসরণ করে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।‘ করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের সাথে ৬ ফিটের কম দূরত্বে কমপক্ষে ১৫ মিনিট অবস্থান করলে সেটাকে ‘ক্লোজ কনটেক্ট’ বলে। স্কুলের প্রথমদিনে শতকরা ৮৪ ভাগ শিক্ষার্থী ক্লাসে উপস্থিত ছিলো। বৃহস্পতিবারে সেই সংখ্যা শতকরা ৮৮ ভাগে পৌঁছালেও তা ধীরে ধীরে কমা শুরু করে। এলএবাংলাটাইমস/এমডব্লিউ