লস এঞ্জেলেস

রিভারসাইডে করোনায় চার বছরের শিশুর মৃত্যু

রিভারসাইড কাউন্টিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চার বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। করোনা মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কাউন্টিতে করোনায় সবচেয়ে কম বয়েসী শিশুর মৃত্যু এটি। শুক্রবার (২৭ আগস্ট) রিভারসাইড কাউন্টি পাবলিক হেলথের কর্মকর্তারা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রিভারসাইড কাউন্টি পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট সূত্র জানায়, শিশুটি আগস্টের শুরুতে মারা যায়৷ তবে এই সপ্তাহে করোনার্স অফিস থেকে সুনিশ্চিত হওয়ার পর মৃত্যুর খবর প্রকাশ করা হচ্ছে। ডিপার্টমেন্ট সূত্র জানায়, চার বছর বয়েসী শিশুটির অন্য কোনো শারীরিক সমস্যা ছিল না। কাউন্টি পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র জোসে আরবালো জুনিয়র জানায়, মৃত্যুর আগে শিশুটি বেশ কিছুদিন সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তবে শিশুটির নাম-ঠিকানা বা শিশুটি কোন শহরের, সেটি এখনো জানায়নি কর্তৃপক্ষ। রিভারসাইড কাউন্টির পাবলিক হেলথ অফিসার ড. জিওফরে লিওং বলেন, 'এই মর্মান্তিক ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে এই ভাইরাসের কাছে শিশু কিংবা বৃদ্ধ কোনো বিষয় নয়। আরো নবীন কোনো প্রাণহানির আগেই আমাদের এই মহামারি রোধ করতে হবে'। আরবালো জানায়, এখন পর্যন্ত কাউন্টিতে ১২ থেকে ১৫ বছর বয়েসী তিনটি শিশু করোনায় মারা গেছে। মহামারির শুরু থেকে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে কাউন্টির ৪ হাজার ৭২৭ জন বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগের বয়স ৩০। পাবলিক হেলথ কর্মকর্তারা জানান, এখন পর্যন্ত বেশ ভালো সংখ্যক টিনএইজ ও প্রাপ্তবয়স্ক বাসিন্দা করোনা মহামারিতে প্রাণ হারিয়েছে। এদের মধ্যে অনেকজনের স্বাস্থ্যগত জটিলতা ছিল। পার্শ্ববর্তী লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে আগস্ট মাসে এখন পর্যন্ত করোনা মহামারিতে ছয়টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুইটি শিশুর বয়স ১২ বছরের কম এবং চারটি শিশুর বয়স ১২ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে। সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) সূত্রমতে, বুধবার পর্যন্ত করোনায় দেশজুড়ে ০ থেকে চার বছর বয়েসী ১৪১টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সিডিসি আরো জানায়, এমনিতে জরুরি বিভাগে শিশু ভর্তির হার কম হলেও সাম্প্রতিক সপ্তাহে এর হার বেড়ে গেছে। ০ থেকে ১৭ বছর বয়েসী ১ লাখ শিশুর মধ্যে এই হার বেড়েছে দশমিক ৪১ শতাংশ। এর আগে জানুয়ারি মাসের মধ্যমভাগে এই হার ছিল দশমিক ৩১ শতাংশ। রিভারসাইড কাউন্টি সুপারভাইজার কারেন স্পেইজেল বলেন, 'এটি খুবই দুঃখজনক যে করোনায় একটি শিশু মারা গেছে। আমাদের মনে রাখতে হবে যে ১২ বছরের কম বয়েসী শিশুদের জন্য সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি। এর কারণ, এইসব শিশুদের জন্য কোনো টিকা নেই'। এলএবাংলাটাইমস/ওএম