লস এঞ্জেলেস

আফগানিস্তানে আটকে আছে ক্যালিফোর্নিয়ার ৩০ শিশু

তালেবান অধ্যুষিত আফগানিস্তানে এখনো আটকে পরে আছে ক্যালিফোর্নিয়ার ৩০ জন শিশু-কিশোর। আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালেবানরা গ্রহণ করার এক সপ্তাহ আগে এসব শিশুরা আফগানিস্তানে বসবাসরত তাদের স্বজনদের সাথে দেখা করতে যায়। তবে ইউএস ফোর্স কাবুল ছেড়ে চলে আসলেও ওই শিশু-কিশোররা সেখানে আটকে যায়। এসব শিশুরা যেসব স্কুল ডিস্ট্রিক্টের শিক্ষার্থী, সেখানের কর্তৃপক্ষ এই তথ্য জানিয়েছেন। স্যান ডিয়েগো স্কুল ডিস্ট্রিক্টের এক কর্মকর্তা এবং স্যাক্রামেন্টো স্কুল ডিস্ট্রিক্টের এর দুই কর্মকর্তা বলেন, আটকে পরা শিশুরা ভয় পাচ্ছে যে তাদের উদ্ধারের কথা যুক্তরাষ্ট্র সরকার ভুলে গেছে। তাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে এরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এর মধ্যে কিছু শিশু যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নিয়েছে ও এরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। গত বসন্ত ও গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে এসব শিশুরা তাদের পিতা-মাতার যেকোনো একজনের সাথে বা উভয়ের সাথে তাদের স্বজনদের সাথে দেখা করতে যায়। এসব পরিবার নিজেদের উদ্যোগেই ভ্রমণ করে, কোনোরকম অর্গানাইজ ট্রিপের সদস্য এরা ছিলো না। এমন অনেক আফগান বাসিন্দা রয়েছে যারা যুক্তরাষ্ট্র সরকার অথবা ইউএস মিলিটারির সাথে দুই দশক ধরে কাজ করছে। এসব আফগানরা কয়েক বছর আগে স্পেশাল ইমিগ্রেশন ভিসার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করে। স্কুল ডিস্ট্রিক্টের কর্মকর্তারা জানান, বেশ কিছু পরিবার জানায় যে তারা কাবুল এয়ারপোর্ট থেকে বিমানে করে যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসতে চেয়েছিল। তবে তালেবানদের চেকপোস্ট থাকায় আর দুই সপ্তাহ যাবত তালেবানরা কাবুল এয়ারপোর্ট ঘিরে রাখায় এরা এয়ারপোর্টে ঢুকতে পারেনি। সোমবার যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার কার্যক্রম গুটিয়ে নেয়। স্যাক্রামেন্টোর স্যান জুয়ান ইউনিয়ন স্কুল ডিস্ট্রিক্ট জানায়, তারা ১৯টি পরিবারের ২৭ জন শিক্ষার্থীকে শনাক্ত করতে পেরেছে যারা এখনো আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত আসতে পারেনি। স্যাক্রামেন্টো স্কুল ডিস্ট্রিক্টের মুখপাত্র রাজ রায় বলেন, 'সংখ্যাটি দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের ধারনা অনেক পরিবার আফগানিস্তানে আটকে আছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করাও সম্ভব হচ্ছে না'। রায় বলেন, 'স্কুল ডিস্ট্রিক্ট নির্বাচিত কর্মকর্তাদের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন ওই পরিবারগুলোকে ফিরিয়ে আনতে'। তিনি বলেন, 'স্যান জুয়ান ইউনিফাইড আফগানদের পাশে রয়েছে এবং যারা আটকে পরে গেছে, তাদের জন্য ভাবছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের দ্রুত ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রার্থনা করছি'। এলএবাংলাটাইমস/ওএম