লস এঞ্জেলেস

লস এঞ্জেলেসের নতুন আতঙ্ক মশাবাহিত রোগ ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস!

অনেকেই মনে করতে পারেন, মশার যন্ত্রনা আর এমন কী! কিন্তু এই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে। সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ায় এই মশা হয়ে উঠছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পাবলিক হেলথ কর্মকর্তারা জানান, সাম্প্রতিক বছরে লস এঞ্জেলেস অঞ্চলে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। আর গত কয়েক বছরের উষ্ণ গ্রীষ্মকাল এই ছোট রক্তচোষা প্রাণীর সংখ্যা আরো বাড়িয়ে তুলতে প্রভাব রেখেছে। মশার কারণে বাড়ছে মশাবাহিত মৃত্যুঘাতী রোগ ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস, যার সুষ্ঠু চিকিৎসা পদ্ধতি এখনো নেই। এই রোগটি মানুষ ও প্রাণীর মাঝে সহজেই ছড়িয়ে যায়। গত সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) লস এঞ্জেলেস কাউন্টিতে এই বছরে প্রথম ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। পাবলিক হেলথ ডাটা অনুসারে, ২০২০ সালে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৯৩ জন, এর মধ্যে মারা গেছেন ৭ জন। গ্রেটার লস এঞ্জেলেস কাউন্টি ভেক্টর কন্ট্রোল ডিস্ট্রিক্ট এর কর্মকর্তারা জানান, নতুন করে ছয়টি এলাকায় ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসবাহিত মশার উপদ্রব চিহ্নিত করা হয়েছে। সেগুলো হলো- সান্তা ফে স্প্রিংস, লা মিরাডা, লং বিচ, প্যারামাউন্ট, কানোগা পার্ক এবং উইনেটকা। ভেক্টর কন্ট্রোলের কর্মকর্তারা জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এই বছর ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখনো কিছুটা কম দেখা যাচ্ছে৷ ভেক্টর কন্ট্রোল ডিস্ট্রিক্টের মুখপাত্র এনাইস মেডিনা ডিয়াজ বলেন, 'এই বছর ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসে অপেক্ষাকৃত কম বাসিন্দা আক্রান্ত হয়েছেন৷ তবে আমাদের বাসিন্দাদের সতর্ক থাকতে হবে, অন্যথায় এটি মারাত্মক হতে পারে। ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস লস এঞ্জেলেসের স্থানীয় ভাইরাস হয়ে যাচ্ছে'। যেসব মশা ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসের জীবানুর বাহক, সেগুলোর কামড়ে মানুষ ও অন্য প্রাণীদের মধ্যে এই রোগ ছড়িয়ে যায়। ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার শুরুর দিকে এর লক্ষণ খুব একটা প্রকাশ পায় না। ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) সূত্র জানায়, যাদের বয়স ষাটোর্ধ্ব, তাদের ঝুঁকি বেশি। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে উচ্চ জ্বর, মাথাব্যথা, ঘাড় ব্যথা, পেশি দূর্বলতা, অসাড়তা, মতিভ্রম, কোমা, দৃষ্টিহীনতা ও প্যারালাইজড হওয়ার শঙ্কা থাকে। মশার উপদ্রব কমাতে জমানো পানি পরিষ্কার রাখতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ড্রেন, রেইন বেরেলস নিয়মিত পরিষ্কার করতে বলা হয়েছে। সুইমিং পুল, স্পা এবং পুকুর যথাযথভাবে পরিষ্কার রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে ছোট কন্টেইনার, পাখি গোসলের পাত্র এসব পরিষ্কার করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এলএবাংলাটাইমস/ওএম