লস এঞ্জেলেস

লং বিচে আগের থেকে অনেক বেড়েছে যৌনবাহিত রোগ

ক্যালিফোর্নিয়ার লং বিচ কমিউনিটির বাসিন্দাদের মধ্যে সাম্প্রতিককালে যৌনবাহিত রোগ অনেক বেড়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য উপাত্তে এমনটাই দেখা যাচ্ছে। এজন্য আগামী নভেম্বরের ১৪ তারিখ এইডস ওয়াক অনুষ্ঠিত হবে লং বিচে। এই ওয়াকের উদ্দেশ্য হবে অর্থ উত্তোলণ যার মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানীয় ক্লিনিক এবং হাসপাতালে এইচআইভি, এসটডি এবং এসটিআই এর পরীক্ষা করানো হবে। ক্যালিফোর্নিয়ার মধ্যে লং বিচে ঐতিহাসিকভাবেই এইচআইভি এবং যৌনবাহিত রোগের সংখ্যা বেশি। দ্য লং বিচ ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিস প্রতিবছর এই রোগগুলো নিয়ে একটি সার্ভে করে থাকে। গত বছর ২০১৯ সালে সর্বশেষ তথ্য যাচাই করা হয় ও করোনার কারণে ২০২১ সালের জুনে সেটি প্রকাশিত হয়। লস বিচ ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস এর এইচআইভি এবং এসটিআই সার্ভিলেন্স প্রোগ্রাম স্পেশালিস্ট এমিলি জনসন বলেন, '২০১৯ সালে আমরা সিফিলিসসহ গনোরিয়া ও অন্যান্য রোগ বেড়েছে। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত লং নিচে ক্লামেডিয়া বেড়েছে ১২ শতাংশ, গনোরিয়া বেড়েছে ৫৯ শতাংশ এবং কংজেনিটাল সিফিলিস বেড়েছে ৬১৩ শতাংশ। কংজেনিটাল সিফিলিফ হচ্ছে মাতৃগর্ভে মায়ের কাছ থেকে শিশুরা যেই সিফিলিসে আক্রান্ত হয়, সেটি। এমিলি জনসন বলেন, বিশেষত শ্বেতাঙ্গ ছাড়া অন্যান্য জাতিগোষ্ঠির মধ্যে সিফিলিস মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে গেছে। জনসন বলেন, 'রোগীদের সম্পর্কে কথা হলে আমরা যা বুঝতে পারি তা হলো বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যসচেতনতা নিয়ে জ্ঞানের অভাব। সেই সাথে চিকিৎসায় অবিশ্বাসসহ আরো বিভিন্ন কারণ বিদ্যমান। এসটিআই সাধারণত একজনের এইচআইভির সম্ভাবনাও আরো বাড়িয়ে দেয়। এসটিআই এ যেকোনো মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। লং বিচের এলজিবিটিকিউ এর কর্মী জেস নুনেজ বলেন, এমন অনেক রোগী আসে যাদের ইন্সুরেন্স করা নেই ও কর্মস্থলে কাজ হারিয়েছে৷ তাই আমরা এসব রোগ প্রতিরোধে ফ্রি টেস্ট করানোসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। এলএবাংলাটাইমস/ওএম