মধ্যপ্রাচ্য

ইন্দোনেশিয়ায় সামরিক বিমান বিধ্বস্তে নিহত ১১৬

ইন্দোনেশিয়ার উত্তর সুমাত্রায় আবাসিক এলাকার ওপর মঙ্গলবার একটি সামরিক পরিবহন বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ১১৬ জনের প্রাণহানি ঘটে। সুমাত্রার উত্তরাঞ্চলীয় শহর মেদানে বিমানবাহিনীর ঘাঁটি থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয় বলে জানান দেশটির কর্মকর্তারা। খবর এএফপি ও বিবিসির।

বিমানবাহিনীর প্রধান আগুস সুপ্রিয়ানা জানান, দুর্ঘটনার শিকার সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানটিতে থাকা ১১৩ জনের মধ্যে ছিলেন ১০১ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু। কেউ বেঁচে আছেন কিনা এ ব্যাপারে বিমানের এ কর্মকর্তা বলেন, না না, কেউ বেঁচে নেই। আমি এমাত্র ঘটনাস্থল থেকে ঘুরে এসেছি। এর আগে কর্তৃপক্ষ বিমানটিতে অন্তত ৪৫ জন ছিল বলে জানিয়েছিল। দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধারকর্মীরা বিমানে থাকা সবাইকে উদ্ধারে জোর চেষ্টা শুরু করেন। স্থানীয়ভাবেও সহযোগিতা করা হয় আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের।
স্থানীয় টেলিভিশনের ফুটেজে একটি আবাসিক এলাকায় ঘরবাড়িতে ও কয়েকটি হোটেলে আগুন জ্বলতে ও কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়।
খবরে বলা হয়, ইন্দোনেশিয়া বিমানবাহিনীর হারকিউলিস মডেলের এ বিমান আবাসিক এলাকার দুটি বাড়ি ও একটি গাড়ির ওপর বিধ্বস্ত হয় এবং সেখানে আগুন ধরে যাওয়ায় এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
বিমানটি মেদান থেকে প্রত্যন্ত নাটুনা দ্বীপে যাচ্ছিল। বিধ্বস্ত হওয়ার আগে পাইলট কারিগরি সমস্যার কথা জানিয়ে ঘাঁটিতে ফিরে যেতে চেয়েছিলেন বলে স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধমের খবরে বলা হয়েছে। এদিকে বিমানটি কী কারণে দুর্ঘটনার শিকার হল তা খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমেছেন বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি ওই বিমানকে বিমানবন্দরের দিক থেকে কাঁপতে কাঁপতে আসতে দেখি এবং পরক্ষণেই সেখানে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখতে পাই।’
ঘটনাস্থলের নিকটবর্তী আদম মালিক জেনারেল হসপিটালের জনসংযোগ কর্মকর্তা সাইরি সারাগিহ জানান, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় হাসপাতালটিতে ৩৮টি মৃতদেহ এসেছে। এদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহত অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০১২ সালে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় সামরিক বিমান বিধ্বস্ত হয়। সে সময় আটজন মারা যান।