এপ্রিল থেকে ইয়েমেনে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া কলেরায় প্রায় ৩ লাখ
৮৪ হাজার ৭১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। চলতি বছরেই মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১ হাজার
৮৫৮ জনের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যানকে উদ্ধৃত করে তুরস্কের
রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনদুলু এজেন্সিতে প্রকাশিত এক থেকে এসব কথা জানা গেছে।
এ বছর এপ্রিল থেকে কলেরার মহামারী শুরু হয় দেশটিতে। ২৪ জুন (শনিবার) এক বিবৃতিতে এ পর্যন্ত দেশটিতে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে অন্তত এক হাজার ৩১০ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১ জুলাই আরও ১৯০ জনের প্রাণহানির খবর দিয়ে ১৫০০ জনের প্রাণহানির খবর দেওয়া হয়। এবার জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে আক্রান্ত ৩৩৮ জনের প্রাণহানির মধ্য দিয়ে কলেরায় মৃতের সংখ্যা ১৮৩৮ জনে দাঁড়ালো।
মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ঘটনায় এই তালিকা তৈরি করে ডব্লিউএইচও। দেশটির ৩৩৩টি জেলার মধ্যে এখন ২৯৫টি জেলাতেই কলেরার প্রকোপ দেখা গিয়েছে। জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মানবিক সহায়তার প্রয়োজন প্রায় ২ কোটি ইয়েমেনির।
জাতিসংঘের এই সংস্থাটি জানায়, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে তীব্র খাবার সংকটও দেখা গেছে। ইয়েমেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানকার হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত ও কয়েক মিলিয়ন মানুষ শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে। ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন অভিযানে গত দুই বছরে নিহত হয়েছেন প্রায় ১২ হাজার বেসামরিক নাগরিক এবং আহত হয়েছেন প্রায় ৪৪ হাজার ৫০০ জন।
ইয়েমেনের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে ২০১৫ সালে দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি জোট। গত দুই বছরে সৌদি জোটের উপর্যুপরি বিমান হামলা তথা সামরিক অভিযানে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ইয়েমেনের মোট জনসংখ্যার ১১ শতাংশ মানুষ।চলতি বছরের জানুয়ারিতে জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইয়েমেনের বিদ্যমান খাদ্য সংকট চলতি বছরই দুর্ভিক্ষে রূপ নিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতেই মরার ওপর খড়ার ঘা-এর মতো দেশটিতে নেমে এসেছে কলেরার তাণ্ডব।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর
এ বছর এপ্রিল থেকে কলেরার মহামারী শুরু হয় দেশটিতে। ২৪ জুন (শনিবার) এক বিবৃতিতে এ পর্যন্ত দেশটিতে এ রোগে আক্রান্ত হয়ে অন্তত এক হাজার ৩১০ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১ জুলাই আরও ১৯০ জনের প্রাণহানির খবর দিয়ে ১৫০০ জনের প্রাণহানির খবর দেওয়া হয়। এবার জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে আক্রান্ত ৩৩৮ জনের প্রাণহানির মধ্য দিয়ে কলেরায় মৃতের সংখ্যা ১৮৩৮ জনে দাঁড়ালো।
মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত ঘটনায় এই তালিকা তৈরি করে ডব্লিউএইচও। দেশটির ৩৩৩টি জেলার মধ্যে এখন ২৯৫টি জেলাতেই কলেরার প্রকোপ দেখা গিয়েছে। জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত মানবিক সহায়তার প্রয়োজন প্রায় ২ কোটি ইয়েমেনির।
জাতিসংঘের এই সংস্থাটি জানায়, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে তীব্র খাবার সংকটও দেখা গেছে। ইয়েমেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানকার হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক নিহত ও কয়েক মিলিয়ন মানুষ শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে। ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন অভিযানে গত দুই বছরে নিহত হয়েছেন প্রায় ১২ হাজার বেসামরিক নাগরিক এবং আহত হয়েছেন প্রায় ৪৪ হাজার ৫০০ জন।
ইয়েমেনের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে ২০১৫ সালে দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি জোট। গত দুই বছরে সৌদি জোটের উপর্যুপরি বিমান হামলা তথা সামরিক অভিযানে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন প্রায় ৪৫ হাজার মানুষ, বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ইয়েমেনের মোট জনসংখ্যার ১১ শতাংশ মানুষ।চলতি বছরের জানুয়ারিতে জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইয়েমেনের বিদ্যমান খাদ্য সংকট চলতি বছরই দুর্ভিক্ষে রূপ নিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতেই মরার ওপর খড়ার ঘা-এর মতো দেশটিতে নেমে এসেছে কলেরার তাণ্ডব।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর