নিউইয়র্ক

নিউইয়র্কের কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট আবদুল মালেকের ইন্তেকাল


ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টারের বাসিন্দা নিউইয়র্কের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল মালেক (৫৯)। ২১ জুলাই স্থানীয় মন্টিফিওর হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটির মধ্যে সুপরিচিত ছিলেন। স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে, সাত ভাইবোনসহ অসংখ্য আত্মীয় ও বন্ধু–বান্ধব রেখে গেছেন তিনি।

আবদুল মালেকের দেশের বাড়ি সিলেট সদরের কদমতলী এলাকায়। ১৯৮৭ সাল থেকে সপরিবারে নিউইয়র্ক নগরে বসবাস করছেন তিনি। মালেক তাঁর প্রবাস জীবনে সিলেট সদর অ্যাসোসিয়েশনসহ নানা সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সিলেট সদর অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক কর্মকর্তা এবং নিউইয়র্ক জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চৌধুরীসহ কমিউনিটি নেতারা মালেকের মৃত্যুতে শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি তারা গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

মালেকের ছোট ভাই মোহাম্মদ ওয়াহিদ বলেন, ২০১৫ সালে প্রথম তাঁর ভাইয়ের কোলন ক্যানসার ধরা পড়ে। তবে রেডিও থেরাপি দিয়ে সুস্থ হয়েছিলেন। একপর্যায়ে পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর ডাক্তাররা জানালেন, ওই মরণব্যাধি মালেকের লিভারকে আক্রান্ত করেছে। ২০১৬ সালে কয়েকবার কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। থেরাপির প্রতিক্রিয়ায় তার নানা উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। সার্জারি করে তিনটি টিউমার রিম্যুভ করা হয়। বছর খানিক পর ২০১৭ সালের শেষ দিকে মালেকের লিভারে আবার টিউমার দেখা দেয়। তখনো কেমোথেরাপি চলতে থাকে, ২০১৮ সালে দুই মাস পর পর সিটিস্ক্যান করা হয়। সেই সময়টিতে মালেক মোটামুটি ভালো হয়ে উঠেছিলেন।

এ বছরের মার্চ মাসে নিউইয়র্কে করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হলে মালেকের নিয়মিত ক্লিনিক্যাল অ্যাপয়েন্টমেন্ট ব্যহত হয়। দীর্ঘদিন ক্যানসারে ভোগা ও কেমোথেরাপির কারণে তাঁর অবস্থা নাজুক হয়ে পড়েছিল। চিকিৎসকেরা তাকে হাসপাতালে না যাওয়ার পরামর্শ দেন। কারণ ব্রঙ্কস তথা নিউইয়র্কের সব হাসপাতালে তখন করোনা রোগীর উপচে পড়া ভিড়। এ পরিস্থিতিতে তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। ২১ জুলাই সকালে তিনি মারা যান।

২১ জুলাই রাতে পার্কচেষ্টার জামে মসজিদে আবদুল মালেকের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। জানাজায় উপস্থিত ব্রঙ্কসের মামুন আহমেদ বলেন, বিপুলসংখ্যক প্রবাসী মাস্ক পরে জানাজায় অংশ নেন। জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চৌধুরী, সদর অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাভেদ আহমেদ, সদরের সাবেক প্রেসিডেন্ট মুজিবুর রহমান, সাহাদত মজুমদার, সিলেট সদর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দুরুদ মিয়া রনেল, সাংগঠনিক সম্পাদক টিটো আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত হয়েছিলেন। নিউজার্সির টটোয়ার কবরস্থানে তাঁর দাফন হওয়ার কথা।

এলএ বাংলা টাইমস/এম/বিএইচ