খেলাধুলা

সালাহর ইনজুরি : বিশ্বকাপ মিশন শেষ!

রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ইনজুরিতে পড়েছেন মোহাম্মদ সালাহ। ম্যাচের ২৯ মিনিটে রিয়ালের অধিনায়ক সার্জিও রামোসের কড়া ট্যাকেলে বাম হাতের ইনজুরি নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন তিনি। ড্রেসিং রুমে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে স্টেডিয়ামই ছেড়ে যান। ফাইনাল শেষে লিভারপুলের কোচ জার্গেন ক্লপ জানিয়েছেন সালাহর ইনজুরি মারাত্মক। সেরে উঠতে তিনমাস সময় লাগতে পারে। কিন্তু মিশরের ফুটবল সংস্থা  জানাচ্ছে ভিন্ন কিছু। তারা সালাহর বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে আশাবাদী।

মিশর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের মতে সালাহর বাম কাঁধের লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তার বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে তারা আশাবাদী। এক টুইট বার্তায় মিশরের ফুটবল সংস্থা এমনটাই জানিয়েছে। মিশরের টিম ডাক্তার মোহাম্মদ আবু এল-এলা কথা বলেছেন লিভারপুলের মেডিকেল টিমের সঙ্গে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে সালাহর ইনজুরির এক্স-রে করানো হয়েছে। ইনজুরি খুব একটা মারাত্মক নয়। কাঁধের সংযোগস্থলের লিগামেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মিশরের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী খালেদ এবিডি এলাজিজের মতে বড় জোড় দুই সপ্তাহ লাগতে পারে সালাহর ইনজুরি থেকে সেরে উঠতে। তার দেওয়া ফেসবুক পোস্ট অনুযায়ী ৪ জুন মোহাম্মদ সালাহকে রেখেই ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করবে মিশর। তিনি আরো জানান ইতালির বিপক্ষে মিশরের প্রস্তুতি ম্যাচের আগ পর্যন্ত সালাহ লিভারপুল শিবিরেই থাকবেন।

ম্যাচ শেষে লিভারপুলের কোচ জার্গেন ক্লপ বলেছেন, ‘মারাত্মক ইনজুরি। সত্যিই খুব মারাত্মক। সে এক্স-রে করানোর জন্য বর্তমানে হাসপাতালে আছে। হয়তো তার কলারবোন অথবা শোল্ডার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আসলে ইনজুরিটা খুব একটা ভালো মনে হচ্ছে না। এটা মোহাম্মদ সালাহর জন্য খুব খারাপ কিছু হল। মিশরের জন্য খুবই খারাপ হল।’

এই ধরনের ট্যাকেলকেও খেলার অংশ বলেছেন ক্লপ। তবে তিনি খেলার এই অংশটিকে পছন্দ করেন না বলেও জানিয়েছেন, ‘আসলে এটাও খেলার অংশ। আর খেলার এই অংশটিকে আমি পছন্দ করি না। তারপরও এটা খেলারই অংশ এবং এমন কিছু হতেই পারে।’
 
চলতি মৌসুমে সালাহ ব্যালন ডি’অরের জন্য রিয়াল মাদ্রিদের ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও বার্সেলোনার লিওনেল মেসির প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছেন। লিভারপুলের হয়ে তিনি সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৪৪ গোল করেছেন। তার পারফরম্যান্সে ভর করে মিশর ১৯৯০ সালের পর বিশ্বকাপে স্থান করে নিয়েছে। ইনজুরি যদি সত্যি সত্যিই মারাত্মক কিছু হয়, তাহলে মিশরের স্বপ্নের বিশ্বকাপ মিশন ফ্যাকাসে হয়ে যেতে পারে।

বিশ্বকাপে মিশর রয়েছে ‘এ’ গ্রুপে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ উরুগুয়ে, রাশিয়া ও সৌদি আরব। ১৫ জুন প্রথম ম্যাচে উরুগুয়ের মুখোমুখি হবে। এরপর রাশিয়া ও সৌদি আরবের সঙ্গে খেলবে।