সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক বলেছেন, সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে চায়ের উৎপাদন আরও কমপক্ষে ১০ মিলিয়ন কেজি বৃদ্ধি করা সম্ভব। তারা বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর ৮৫-৯৫ মিলিয়ন কেজি চা উৎপন্ন হয়ে থাকে। আর চা ব্যবহার হয়ে থাকে ৯০-৯৫ মিলিয়ন কেজি। বর্তমানে চা-বাগানের অব্যবহৃত জমি সঠিকভাবে ব্যবহার করার পাশাপাশি ২০ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে ছায়াবৃক্ষ লাগালে সর্বোচ্চ চা উৎপাদন করা সম্ভব।
গতকাল রোববার সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) কৃষি অনুষদের ভার্চুয়াল সম্মেলন কক্ষে ‘চা উৎপাদনে উপকারী আর্থোপোড সংরক্ষণে ছায়াবৃক্ষের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে গবেষকবৃন্দ এসব তথ্য জানান। তারা বলেন, অনেক স্থানে ‘সিক বাগান’ পড়ে আছে। আবার অনেক স্থানে চা-চাষ করার উপযোগী জায়গা ফেলে রাখা হয়েছে। এগুলো চাষের আওতায় না আনলে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাবে।
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (সাউরেস) পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ছফিউল্লাহ ভুঁইয়া সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মো. আব্দুল মালেক। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, ‘নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশীয় চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি পণ্য রপ্তানির সুযোগ তৈরি করতে হবে।’
এদিকে এবার অনুকূল আবহাওয়া দেশে চা উৎপাদন আশাব্যঞ্জক। যদিও এবার মৌসুমের প্রথম দিকে তীব্র খরা, অতিবৃষ্টি নিয়ে বাগানগুলো মন্দা সময় অতিক্রম করে। কিন্তু গত কয়েক মাসের বৃষ্টিতে চা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আশাবাদী বাগান সংশ্লিষ্টরা। এবার ১০২ মিলিয়ন কেজি চা-পাতা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বাগানে বাগানে ব্যস্ত সময় পার করছেন চা-শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্টরা।
এলএবাংলাটাইমস/আইটিএলএস