আইটি

সার্কের জন্য স্যাটেলাইট তৈরি করছে ভারত

আগামী বছরের ডিসেম্বর মাস নাগাদ সার্কভুক্ত আটটি দেশের জন্য একটি কৃত্রিম উপগ্রহ বা

স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করবে ভারত। বিভিন্ন ধরনের জনসেবামূলক কাজে এই কৃত্রিম উপগ্রহের

তথ্য কাজে লাগানো হবে বলে ২৬ জুন শুক্রবার জানিয়েছেন ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রধান

এ. এস. কিরণ কুমার। খবর আইএএনএসের।
ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ইসরো) চেয়ারম্যান বেঙ্গালুরুতে সাংবাদিকদের বলেছেন,

‘দুই টন এই স্যাটেলাইটে ১২ কুর্টজ আন্ডার ব্যান্ড (স্যাটেলাইটে ব্যবহৃত ইলেকট্রোম্যাগনেটিক

স্পেকট্রাম) ট্রান্সপন্ডার (বেতার তরঙ্গ গ্রহণ এবং বিভিন্ন সংকেতে স্বয়ংক্রিয় স্থানান্তরের যন্ত্র) থাকবে।

এতে একেকটি সংকেত একেকটি দেশের জন্য দেওয়া হবে যাতে এ অঞ্চলের যোগাযোগ, শিক্ষা,

টেলিমেডিসিন, দুর্যোগ নজরদারি ও অন্যান্য সেবার কাজে তা ব্যবহার করা যায়।’
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সার্কভুক্ত দেশগুলোর জন্য এ অঞ্চলে ভারতের পক্ষ থেকে উপহার

হিসেবে একটি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের প্রস্তাব দেন।
বর্তমানে এ অঞ্চলে কেবল ভারতেরই স্যাটেলাইট তৈরি, যোগাযোগের জন্য তা উৎক্ষেপণ ও পৃথিবী

পর্যবেক্ষণ ও মহাকাশ গবেষণার কাজে লাগানোর সক্ষমতা আছে।
সাউথ এশিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব রিজওনাল কোঅপারেশন বা সার্ক ১৯৮৫ সালে গঠিত হয়।

বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা এর সাতটি সদস্য থাকলেও পরে

আফগানিস্তানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গত বছরের নভেম্বর মাসে নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ সার্ক সম্মেলনে মোদির প্রস্তাবকে

অনুমোদন দেন সার্কের প্রধান।
কিরণ কুমার বলেন, ২২ জুন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত সার্কের এক সভায়, বিশেষজ্ঞরা এই অঞ্চলের জন্য

বিশেষভাবে তৈরি এই কৃত্রিম উপগ্রহটির জন্য একমত হন। প্রতিটি দেশ থেকে পাঁচজন করে

প্রতিনিধি এই সভায় ছিলেন। এই সভায় পাকিস্তানও অংশ নেয়।’
ভারতের মোদী সরকারের অনুমোদন নিয়ে, ভারতের সরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থাটি আগামী

দেড় বছরে মধ্যে বেঙ্গালুরু কেন্দ্রে এই কৃত্রিম উপগ্রহটি তৈরি করবে এবং অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটা

থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হবে।
কিরণ কুমার আরও বলেন, ‘সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের ডিসেম্বরে সার্ক স্যাটেলাইট

উৎক্ষেপণ করা হবে কারণ এটি তৈরি করতে দেড় বছর সময় লাগবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সার্কভুক্ত দেশগুলোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে তাদের প্রয়োজনীয়

বিষয়গুলো জানতে সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছে।
কিরণ কুমার বলেন, ভবিষ্যৎ মহাকাশ কর্মসূচির কথা মাথায় রেখে এবং এই অঞ্চলের সুবিধার জন্য

আমরা একটি সার্ক কনসোর্টিয়ামের পরিকল্পনা করছি যাতে প্রতিটি দেশ তাদের সক্ষমতা কাজে

লাগাতে পারে।