আইটি

যেকোনো প্রশ্নের সঠিক উত্তর সরাসরি উপস্থাপনে সক্ষম চ্যাটজিপিটি

সময়ের পরিক্রমায় মানব সৃষ্ট প্রযুক্তি এগিয়ে গেছে বহুদূর। যন্ত্র নির্ভরতা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। দৈনন্দিন জীবনকে আরও সহজ করতে উদ্ভাবিত হচ্ছে অভিনব প্রযুক্তির। প্রযুক্তির এই বিপ্লবী পরিবর্তনে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স। তারই উন্নত প্রতিফলন দেখা গেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক চ্যাটবট চ্যাটজিপিটিতে। যেকোনো প্রশ্নের সঠিক উত্তর সরাসরি উপস্থাপনে সক্ষম চ্যাটবটটি পৃথিবীজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গবেষণা বলছে, ইতোমধ্যে সাধারণ মানুষের সৃজনশীল চিন্তা ভাবনাকে ছাড়িয়ে গেছে এই চ্যাটবট। ইউনিভার্সিটি অব মন্টানার এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, চ্যাটজিপিটির উত্তর ও সৃজনশীলতা শীর্ষ ১ শতাংশ চিন্তাবিদদের সৃজনশীলতার সঙ্গে মেলে। অর্থাৎ চ্যাটজিপিটির সৃজনশীলতা বর্তমান বিশ্বের শীর্ষ চিন্তাবিদদের সৃজনশীলতার সীমানায় পৌঁছে গেছে। এ গবেষণার জন্য প্রথমে গবেষকরা চ্যাটজিপিটি ইঞ্জিনে ‘টরেন্স টেস্ট অব ক্রিয়েটিভ থিংকিং’ এ (টিটিসিটি) পরীক্ষা নেন ও আটটি উত্তর বা প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করেন। পরে তারা একই বিষয়ে মন্টানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ জন শিক্ষার্থীকে টিটিসিটি নেন। পরীক্ষায় এআই ও মন্টানা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অর্জন করা স্কোরকে পুরো যুক্তরাষ্ট্রের দুই হাজার ৭০০ জন সাধারণ শিক্ষার্থীর উত্তরের সঙ্গে তুলনা করা হয়, যারা সবাই টিটিসিটি দেওয়া। ফলাফল নির্ধারণের পুরো প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়েছে স্কলাস্টিক টেস্টিং পরিষেবার মাধ্যমে। তবে সেখানে যে এআই থেকে সংগ্রহ করা প্রতিক্রিয়া ছিল তা জানানো হয়নি। গবেষকদের মতে চ্যাটজিপিটি সবচেয়ে চিন্তাশীল শিক্ষার্থীর মতো করেই সৃজনশীল উত্তর দিয়েছে। এমনকি চ্যাটজিপিটির সৃজনশীলতা সাধারণ চিন্তা-ভাবনাসম্পন্ন মানুষের চিন্তা-ভাবনাকেও ছাড়িয়ে গেছে। গবেষণার পরিচালক ও ইউএম কলেজ অব বিজনেসের সহকারী অধ্যাপক ড. এরিক গুজিক বলেন, আমরা সবাই চ্যাটজিপিটির সৃজনশীলতার সীমা নির্ণয়য়ের চেষ্টা করছিলাম। গবেষণায় দেখা গেছে, চ্যাটবটটি এমন কিছু আকর্ষণীয় জিনিস করছে, যা আমরা আশাই করিনি। কিছু প্রতিক্রিয়া ছিল আসলেই অভিনব ও আশ্চর্যজনক। তখনই আমরা এটির সৃজনশীলতা পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিই। এ ধরনের গবেষণা সম্পূর্ণ নতুন। তাই ভবিষ্যতে সময়ের সাথে সাথে এআইয়ের সৃজনশীলতা আরও বেড়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি। এলএবাংলাটাইমস/এজেড