আইটি

এবার পকেটে রাখার মত মুঠো সাইজের ড্রোন

একটা সময় ছিল যখন স্মার্টফোন ছিল অনেক মানুষের জন্য কল্পনার বস্তু। কিন্তু এখন স্মার্টফোন দেখা যায় ঘরে ঘরে - মানুষের হাতে হাতে। গবেষকরা বলছেন খুব শিগগিরি দেখা যাবে ড্রোন জায়গা করে নেবে মানুষের পকেটে বা হাতব্যাগের ভেতরে। ড্রোন বা রিমোট চালিত বিমান ক্রমশই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এবং নানা কাজে এর ব্যবহারও বাড়ছে । নেদারল্যান্ডসের ডেল্ফট্ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির গবেষকরা বলছেন তারা শহুরে পরিবেশে এবং ঘনবসতিপূর্ণ জায়গায় ব্যবহারের জন্য খুবই হালকা - মাত্র ৪ গ্রাম ওজনের ড্রোন তৈরি করেছেন যা হাতের মুঠোয় ধরা যাবে। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদে এই ড্রোনের ভেতরে পুরোপুরি কার্যক্ষম ক্যামেরা থাকবে এবং এটি খুবই স্বল্পখরচের প্রযুক্তি ব্যবহার করবে। এটি হবে সম্পূর্ণ স্বয়ংনিয়ন্ত্রিত এবং ঘরের বাইরে এটি ওড়ানো যাবে স্মার্টফোনের জিপিএস ব্যবহার করে। ক্ষুদে ড্রোনের গবেষক বার্ট রেমেস (ডানদিকে) বিবিসিকে দেখান কীভাবে কাজ করবে এই ক্ষুদে ড্রোন ঘরের ভেতরে যেখানে জিপিএস নেই সেখানে রিমোট ব্যবহার করে এটির গতি ও দিক নির্দেশ করা যাবে। পশ্চিমের বিভিন্ন দেশে আকাশ থেকে ছবি তোলার কাজে তো বটেই - এমনকী জমি জরিপের জন্য ছবি তোলা, প্যাকেটে করে মাল সরবরাহ করা এবং চিকিৎসা সেবার কাজে ড্রোনের ব্যবহার ব্যাপকভাবে বাড়ছে। হাতের মুঠোয় ধরা যায় ৪ গ্রাম ওজনের এই ক্ষুদে ড্রোন নতুন উদ্ভাবিত এই ক্ষুদে ড্রোন কীভাবে উড়তে এবং ছবি সংগ্রহ করতে পারে গবেষকদলের বার্ট রেমেস তা বিবিসিকে দেখিয়েছেন। তিনি বলছেন এই ক্ষুদে ড্রোনের ওজন যেহেতু ২০ গ্রাম ছাড়াবে না, তাই এই ড্রোন কোনো কিছুতে আঘাত করলে বা কারো 'মাথায় গিয়ে পড়লে' কারো কোনো ক্ষতি হবে না। তিনি দেখান তাদের বিশ্ববিদ্যালয় ভবনে একবার আগুন লাগলে কীভাবে এই ড্রোন ভবনের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, যখন এই ড্রোন আকাশ থেকে আগুন লাগা ভবনের ছবি তোলে। এই ছবি থেকে তারা বুঝতে পারেন আগুন ঠিক কোন্জায়গায় জ্বলছে। ডেল্ফট্ ইউনিভার্সিটির ওই গবেষক বিবিসিকে বলেন তাদের এই ক্ষুদে ড্রোন জনাকীর্ণ এলাকায় এবং এধরনের কাজে ব্যবহারের জন্য খুবই উপযোগী হবে।