প্রবাস

জার্মান আওয়ামী লীগের ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী, দু-এক দিনের মধ্যেই কঠোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে

মাত্র কয়েক ঘন্টা আগেই লন্ডন সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সাথে বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক মন্ত্রী ফারুক খান,সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান। তারা গত ২৭ জুলাই জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে অনুষ্ঠিত জার্মান আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের নানা অনিয়মের কথা তুলে ধরেন এবং সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের নেতাদের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা অবহিত করেন শেখ হাসিনাকে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমস্ত ঘটনা শুনে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। সূত্র জানায়, জার্মান আওয়ামী লীগের এই ঘটনায় শেখ হাসিনার নির্দেশে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যাচ্ছে।কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে প্রেসিডিয়াম সদস্য লন্ডন সফররত ফারুক খান এই সিদ্ধান্ত দিনের মধ্যেই ঘোষণা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ করা যেতে পারে গত ২৭ শে জুলাই ফ্রাঙ্কফুটে অনুষ্ঠিত জার্মান আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম পর্ব শেষে নানা অনিয়ম এবং বিশৃংখল পরিবেশে নিজেদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন বশিরুল আলম চৌধুরী সাবু ও আব্বাস চৌধুরী।অনিয়মের কারণে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক খান তাৎক্ষণিকভাবে ওই সম্মেলন বাতিল করেন।কিন্তু ভোর রাতে হোটেলে অবস্থানরত সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম নজরুল ইসলামের কক্ষে প্রবেশ করে সাবু ও আব্বাসের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাদের উপর হামলা চালায়।তারা জোরপূর্বক ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের নেতাদের কাছ থেকে তাদের ঘোষিত কমিটিতে স্বাক্ষর নিয়ে নেয়।ওই রাতেই তারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণা চালাতে শুরু করে। দলীয় নেতাদের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন ইউরোপের অন্য দেশের নেতাকর্মীরা। তারা এই ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বহিষ্কার এবং সম্মেলন বাতিলেরও দাবি জানায়।ওই সময়  সর্ব ইউরোপীয়ান আওয়ামী লীগের নেতারা  প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা না করে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।অবশেষে বুধবার ফারুক খানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের এই দুই নেতা প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সাথে বৈঠকে বসেন।সূত্র জানায় ওই ঘটনায় দায়ী কয়েকজনকে বহিষ্কারসহ সম্মেলন বাতিল এবং নতুন করে সম্মেলনের ঘোষণাসহ কতিপয় কঠোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।