প্রবাস

আমেরিকায় আরও ৯ জনসহ ১৮৭ বাংলাদেশির মৃত্যু

আমেরিকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও নয়জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে আমেরিকায় ১৮৭ বাংলাদেশির মৃত্যু হলো। লকডাউনের সীমাবদ্ধতার কারণে তথ্য সংগ্রহে সমস্যা হওয়ায় এ সংখ্যার কিছুটা তারতম্য হতে পারে।

গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হওয়া বাংলাদেশিরা হলেন-সিরাজুল ইসলাম, আবদুর রাজ্জাক, বাবুল ইসলাম, শফি হায়দার, বিদ্যুৎ দাস, আতাউর রহমান চৌধুরী, আবদুস সালাম খান, আবদুল খালেক ও আবু জাহের ।

করোনায় মৃত্যু হওয়া আবদুস সালাম খান (৭৬) জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভাপতি মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম দেলোয়ারের শ্বশুর। তিনি ২১ এপ্রিল লং আইল্যান্ডের নর্থশোর হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, পাঁচ মেয়ে ও নাতি-নাতনিসহ বহু আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন। মরহুমের দেশে বাড়ি সিলেট জেলার বিয়ানিবাজার উপজেলার কুড়ার বাজার ইউনিয়নের আঙ্গারজুর গ্রামে।

এদিকে নিউইয়র্কে ছোট ভাইয়ের পর বড় ভাইয়েরও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। তিন সপ্তাহের ব্যবধানে একই পরিবারের দুজনের মৃত্যুতে শোকে বিহ্বল হয়ে আছে পরিবারের সদস্যরা। টাঙ্গাইল জেলা সমিতি ইউএসএর সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক মোহাম্মদ খান রাজেশের বড় ভাই শফি হায়দারের (৫৪) ২১ এপ্রিল মৃত্যু হয়। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩০ মার্চ থেকে ম্যানহাটনের মাউন্টসিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাঁর ছোট ভাই সাইফুর হায়দার খান আজাদ (৪৭) করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৪ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন। মরহুম শফি হায়দারের স্ত্রী মাসুমা পারভীন তাঁদের ছোট মেয়েকে নিয়ে বাংলাদেশে বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়েছেন।

করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কের প্রিয়মুখ প্রকৌশলী বিদ্যুৎ দাস ২১ এপ্রিল স্থানীয় সময় রাত আটটা পাঁচ মিনিটে হাসপাতালে পরলোক গমন করেন। বেশ কিছুদিন থেকেই তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। বিদ্যুৎ দাস যুক্তরাষ্ট্র হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানন ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী কেকা দাস, কন্যা কুহু ও পুত্র আকাশকে রেখে গেছেন। তিনি স্ট্যাটেন আইল্যান্ডে বাস করতেন।

এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/এন