প্রবাস

'পঞ্চায়েত' সূচনা সংখ্যার পাঠোম্মোচন ও লেখক আড্ডা সম্পন্ন

নর্থ আমেরিকায় বসবাসরত লেখিয়েদের নিয়ে প্রকাশিত সাহিত্যের ছোটকাগজ ‘পঞ্চায়েত’ এর সূচনা সংখ্যার পাঠোম্মোচন ও লেখক আড্ডা ব্রুঙ্কসের স্টার্লিংয়ে সম্পন্ন হলো। আজকের এই অনুষ্ঠানটি ছিল একটু অন্যরকম। ব্যতিক্রমধর্মী এ অনুষ্ঠানে কোনও সভাপতি, প্রধান অতিথি কিংবা বিশেষ অতিথি বলতে কিছু ছিল না, সিনিয়রদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে উপস্থিত সকলকেই সমানভাবে মূল্যায়ন করা হয়।

অনুষ্ঠানকে তিনটি পর্বে ভাগ করা হয়। প্রথম পর্বে পঞ্চায়েতে প্রকাশিত প্রবন্ধ নিয়ে আলোচনা করেন যথাক্রমে পঞ্চায়েত সদস্য রশীদ জামীল, কবিতা ও ছড়া নিয়ে আলোচনা করেন হাবিব ফয়েজি এবং গল্প নিয়ে আলোচনা করেন মাসুম আহমদ। তারা সকলেই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন লেখকদের প্রতি যারা লেখা দিয়ে পঞ্চায়েতকে সমৃদ্ধ করেছেন।

দ্বিতীয় পর্বে স্বরচিত কবিতা পাঠ ও আবৃতি করেন- জনাব আনোয়ারুল হক লাভলু, শাহ আলম দুলাল, জুলি রহমান, মেহের চৌধুরী, নাসিরুল্লাহ মোহাম্মদ, জুঁই ইসলাম, মাকসুদা আহমেদ, কামরুন নাহার রীতা, বেনজীর শিকদার, সালেহীন সাজু।

তৃতীয় পর্বে পরামর্শমূলক বক্তব্য রাখেন- শামিম আহমদ, ইশতিয়াক রুপু, ফরিদা ইয়াসমিন, রওশন হক, আবু সাঈদ রতন, মোশাররফ হোসেন, সোনিয়া কাদির, এবিএম সালেহ উদ্দিন, তমিজ উদ্ দীন লোদী প্রমুখ।

বক্তারা এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন যে, নিঃসন্দেহে এটি একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ, আমরা আশা করবো এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে এবং এর দ্বারা বাংলা সাহিত্য সমৃদ্ধ হবে, নতুন লেখক সৃষ্টি হবে আর জাতি উপকৃত হবে। ব্যতিক্রমী এ কাগজের সম্পাদক কে বা কারা তার কোনও হদিস নেই। সম্পাদক হিশেবে কারো নাম নেই, সেটা প্রথমে মনে হতে পারে ভুলবশত কিন্তু না খুবই সচেতনভাবেই পঞ্চায়েতের সাথে জড়িতরা তা করেছেন। প্রচারসর্বস্বতার এই যুগে পঞ্চায়েতের সদস্যরা নেপথ্যে থেকে প্রমাণ করলেন তারা নির্লোভ এবং তাদের উদ্দেশ্য সৎ। তারা আরও বলেন যে, প্রচারসর্বস্বদের জন্য এটা একটা শিক্ষণীয় জবাব।

এছাড়াও আরো যাদের উপস্থিতি অনুষ্ঠানকে প্রাণবন্ত করেছে- মোঃ বশির আহমদ, মাশুক আহমদ, সৈয়দ কামরুজ্জামান, পলি শাহীনা, ফারজানা ইয়াসমিন, সামির, মামুন রহমান, সাইমন মোহাইমিন, মোঃ ইলিয়াস হোসেন, লুসি হাসান, সুলতানা ডলি, জান্নাতুল ফেরদৌস আরা, শামীম আরা বেগম, নাসির শিকদার প্রমুখ।

এলএবাংলাটাইমস/এএল/এলআরটি