আমেরিকা

টেক্সাস সীমান্তের অভিবাসী প্রত্যাশীদের বিমানযোগে ফেরত পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

গত কয়েক সপ্তাহ যাবত ইউএস-ম্যাক্সিকো সীমান্তে জড়ো হওয়া অভিবাসী প্রত্যাশীদের আকাশপথে অত্র এলাকা থেকে সরিয়ে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। জড়ো হওয়া এই অভিবাসীদের অধিকাংশ হাইতির বাসিন্দা। অ্যাসোসিয়েট প্রেস জানায়, রবিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) তিনটি বিমানের প্রতিটিতে ১৪৫ জন অভিবাসী বহন করে হাইতির পোর্ট-আও-প্রিন্স এয়ারপোর্টে ফেরত পাঠানো হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহে টেক্সাসের ডেল রিও ও ম্যাক্সিকোর সিউদাদ আকুনার সংযোগ ব্রিজের নিচে ১৩ হাজার অভিবাসী জড়ো হয়। সেখানে তাঁবু গেড়ে ৩৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে বাস করে আসছিল এসব অভিবাসী। ইমার্জেন্সি পাবলিক হেলথ অর্ডার, যা টাইটেল ৪২ নামে পরিচিত- যুক্তরাষ্ট্রের সরকার এই ক্ষমতাবলে অভিবাসী প্রত্যাশীরা অ্যাসাইলাম আবেদন করার আগেই তাদের ফেরত পাঠাচ্ছেন। ডেল রিও'র স্থানীয় সরকার এই অভিবাসী প্রত্যাশীদের খাদ্য ও যথাযথ সেনিটেশন প্রক্রিয়া দিতে হিমশিম খায়৷ সীমান্তে কাজ করা অভিবাসী সংগঠন টম কার্টরাইট জানান, টেক্সাস থেকে হাইতির অভিবাসীদের নিয়ে তিনটি বিমান ছেড়ে গেছে। একটি লারেদো এবং অন্য দুইটি বিমান সান অ্যান্টনিও থেকে হাইতির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। বর্ডার পেট্রোল প্রধান রাউল এল অরটিজ বলেন, প্রায় ৩ হাজার ৩০০ অভিবাসীকে ক্যাম্প থেকে বিমান কিংবা ডিটেনশন সেন্টারে পাঠানো হয়েছে। রাউল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'আমাদের পরবর্তী ছয় থেকে সাতদিনের লক্ষ্য হচ্ছে ১২ হাজার ৬৬২ জন অভিবাসী যারা এখনো ব্রিজের নিচে আছেন, তাদেরকে বন্দোবস্ত করা'। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র সরকার অভিবাসী প্রত্যাশীদের দেশের সাথে তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য আলোচনা করছেন। আগত অভিবাসীদের মধ্যে বেশিরভাগ হাইতির বাসিন্দা হলেও কিউবান, ভেনেজুয়েলা, নিকারাগুয়ানস এর বাসিন্দারাও ছিল। মূলত দক্ষিন দিক থেকে হাইতির বড় বাসিন্দাদের অংশ সীমান্তে আসছে। এর মধ্যে ২০১০ সালের ভূমিকম্পের পর অনেকেই ব্রাজিল এবং সাউথ আমেরিকার অন্যান্য দেশে চলে এসেছিল। গত মাসে ম্যাক্সিকান সীমান্ত থেকে ১ লাখ ৯৫ হাজার অভিবাসী প্রত্যাশীকে আটক করা হয়েছে। বুধবার এক প্রকাশিত সরকারি জরিপ এই তথ্য জানিয়েছে। ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে আটকের সংখ্যা ছিল ৫১ হাজার। এলএবাংলাটাইমস/ওএম