ওয়াশিংটন ডিসিতে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের মামলায় মৃত্যুদণ্ড চাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসে এক মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি বলেন, মৃত্যুদণ্ড হবে একটি “প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা”।
ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যেই ওয়াশিংটন ডিসিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় শত শত ন্যাশনাল গার্ড ও ফেডারেল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করেছে। তবে শহরের মেয়র মুরিয়েল বাউসার প্রেসিডেন্টের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে অপরাধের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে এবং তা “৩০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন সহিংস অপরাধের হার”।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “যদি কেউ রাজধানী ওয়াশিংটনে কাউকে হত্যা করে, আমরা তার জন্য মৃত্যুদণ্ড চাইব। এটি একটি শক্তিশালী প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ।”
ওয়াশিংটন ডিসিতে অধিকাংশ হত্যাকাণ্ড স্থানীয় আইনের আওতায় বিচার হয়। তবে ফেডারেল আইনের অধীনে কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড চাওয়া সম্ভব হলেও তা কার্যকর করতে হলে জুরির অনুমোদন প্রয়োজন। বড় চ্যালেঞ্জ হলো, ডিসির বাসিন্দাদের বেশিরভাগই মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী।
যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে ২৭টি অঙ্গরাজ্য, সেনাবাহিনী এবং ফেডারেল সরকার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর রাখলেও ওয়াশিংটন ডিসি ১৯৮১ সালে এটি বাতিল করে। পরবর্তীতে ২০০২ সালের এক গণভোটে শহরের বাসিন্দারাও ব্যাপকভাবে মৃত্যুদণ্ডের বিপক্ষে মত দেন।
ট্রাম্প প্রথম মেয়াদের শেষ মাসগুলোতে রেকর্ড ১৩টি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন, যা তাকে শত বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফেডারেল মৃত্যুদণ্ড কার্যকরকারী প্রেসিডেন্টে পরিণত করে। তবে চলতি মেয়াদে এখনো কোনো ফেডারেল মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়নি।
এদিকে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, ওয়াশিংটন ডিসির মতো অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তিনি শিকাগো ও বাল্টিমোর শহরেও সেনা মোতায়েন করতে প্রস্তুত। তবে ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের গভর্নর জে বি প্রিৎজকার ট্রাম্পকে অভিযুক্ত করেছেন “কৃত্রিমভাবে সংকট তৈরি করার” জন্য।
এলএবাংলাটাইমস/ওএম