বাংলাদেশ

শিক্ষার্থীদের নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার দাবি ড. কামালের

ঈদের আগে নিরাপদ সড়ক ও কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতন নিপীড়ন বন্ধ ও গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করেছেন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ও সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, দয়া করে মুক্তি দিন শিক্ষাথীদের। এর পাশাপাশি তিনি অবিলম্বে শিক্ষাথীদের গ্রেফতার বন্ধের দাবি জানান। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ঈদের সময় একটা উদারতার পরিচয় দিক এটা আমরা চাই। তিনি বলেন, খ্রীস্ট্রানরাও তাদের বড়দিনকে সামনে রেখেও এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে গতকাল এক সংহতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

নিরাপদ সড়ক ও কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতন নিপীড়ন বন্ধ ও গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ সংহতি সমাবেশে তিনি আরো বলেন, আমি এরকশত ভাগ নিশ্চিত বঙ্গবন্ধুর কাছে আইনমন্ত্রী হিসাবে আমি এধরণের প্রস্তাব নিয়ে গেলে তিনি অবশৗই কোন রাখ ডাক না করে ক্ষমা করে দিতেন। মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি হবে-এটাইতো চেয়েছিল বঙ্গবন্ধু। তবে বঙ্গবন্ধুর কন্যার কাছে এর চেয়ে কম আশা কিভাবে করি? কাজেই আশা করি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা নির্যাতন অবিলম্বে বন্ধ করা হবে। তিনি বলেন,প্রধানমন্ত্রীর একজন শুভাকাঙ্খী হিসাব এদাবি করছি।

ড. কামাল হোসেন বলেন, নিরাপদ সড়ক ও কোটা সংস্কারের বিষয়টি নিয়ে একটি সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এবিষয়টি নিয়ে সরকারের শৗর্ষ পর্যায়ের সাথে আলোচনা করতেও প্রস্তুত বলে জানান তিনি। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন’, আপনার সমালোচনা করতে আমরা এখানে সমবেত হয়নি, আমরা গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীদের মুক্তি চাই। বন্ধ হোক গ্রেফতার নিপীড়ণ নির্যাতন।’ তিনি বলেন, কেউ চায় না এভাবে নির্যাতন হউক, হাতুড়ি দিয়ে কারও পা ভেঙ্গে দিক এটা কেউ চায় না। এটা কারা করেছিল কে করেছিল সে ব্যাপারে একটা পদক্ষেপ নিতেই হবে। ন্যায় নীতির ভিত্তিইে আমরা একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারি।

এর পাশাপাশি তিনি প্রধানমন্ত্রী উদ্দেশ্যে আরো বলেন, আমরা সংবিধান নিয়েও আপনার সাথে কথা বলতে চাই। আমরা চাই আপনি সংবিধান মেনে দেশ চালান। সংবিধানকে মেনে চলেই ভালো কাজ সম্ভব। সংবিধানকে অমান্য করে কোনো ভাল কাজ সম্ভব নয়।
ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, কোনোভাইে নিরাপদ সড়ক ও কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর এমন বর্বও হামলা কেউ সমর্থণ করেনা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীই চাইলে অবশ্যই গ্রেফতারকৃত শিক্ষার্থীদের ক্ষমা করে দিতে। এটা করা হলে জাতি চিরদিন তার কথা মনে রাখবে।

অনুষ্ঠানে সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ফজলুর রহমান, ডাকসু’র সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ এবং গণফোরাম নেতাদের মধ্যে অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, আ.ও.ম শফিকউল্লাহ, জগলুল হায়দার আফ্রিক, মোশতাক আহমেদসহ জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় সদস্য সচিব আ.ব.ম মোস্তাফা আমীন বক্তব্য রাখেন।


এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি