ইউরোপ

ইউরোপের ১২ দেশে শিক্ষার্থীদের যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ৩০০

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রের পর ইউরোপেও বড় আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। বিক্ষোভ দমনে বল প্রয়োগ করছে কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার ইউরোপের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নতুন করে বিক্ষোভরত প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ এবং ইসরায়েলের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ও ইসরায়েলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবিতে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বিক্ষোভ শুরু হয়। ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থনেরও অবসান চান শিক্ষার্থীরা। পরে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। মার্কিন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। বিক্ষোভ চলছে ইউরোপের অন্তত এক ডজন দেশে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাজ্য, স্পেন, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক ও আয়ারল্যান্ড। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এসব দেশ থেকে ৩০০ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। ইউরোপের বাইরে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, মেক্সিকো, লেবানন, ইরাকের মতো আরও বেশ কিছু দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের তাঁবু গুঁড়িয়ে দিচ্ছে পুলিশ। শেষ মঙ্গলবার জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাঁবু গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের দেড় শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ছড়িয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভ দমনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। দেশটিতে ইতিমধ্যে আড়াই হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। বিক্ষোভ দমনে মরিয়া হলেও গাজায় আগ্রাসন বন্ধে ইসরায়েলকে কার্যকর চাপ না দেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্রে চলমান শিক্ষার্থী বিক্ষোভ নিয়ে শুক্রবার প্রথমবার কথা বলেন বাইডেন। সেদিন তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় অবশ্যই শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। এলএবাংলাটাইমস/ওএম