বাংলাদেশ

আজও আদালতে আসেননি খালেদা, অনুপস্থিতিতে বিচার চায় রাষ্ট্রপক্ষ

বৃহস্পতিবারও (১৩ সেপ্টেম্বর) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানিতে হাজির হননি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। গতকাল বুধবার তিনি আদালতে যেতে পারবেন না বলে কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়ায় আজ মামলাটির শুনানিতে খালেদা জিয়ার না আসার কারণ সম্পর্কে তার আইনজীবীদের কাছে জানতে চান আদালত।

এসময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলে কারণ ব্যাখ্যা করার আবেদন জানান তার আইনজীবীরা। তবে তিনি আদালতে সশরীরে আসতে না চাইলে তার অনুপস্থিতিতেই বিচার কাজ অব্যাহত রাখার আবেদন জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর এ বিষয়ে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর আরও শুনানি করে আদেশ দেবেন। মামলাটির বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুরনো কারাগারের ভেতরে এজলাস বসিয়ে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিচার কাজে খালেদা জিয়া পরপর দু’দিন সশরীরে উপস্থিত না হওয়ায় আজ এর কারণ জানতে চান মামলাটির বিচারক। এসময় রাষ্ট্রপক্ষ জানান, কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তিনি আসতে পারবেন না। এসময় খালেদা জিয়ার বক্তব্য সঠিকভাবে আদালতে উপস্থাপন করা হয়নি বলে দাবি করেন তার আইনজীবীরা।

তারা আদালতকে জানান, খালেদা জিয়া অসুস্থ, তাই তিনি আসতে পারেননি। কিন্তু, খালেদা জিয়ার বক্তব্য কারা কর্তৃপক্ষ এমনভাবে উপস্থাপন করেছে, মনে হয়েছে খালেদা জিয়া আদালতকে অবজ্ঞা করেছেন। কিন্তু আসলে বিষয়টি তা নয়। তিনি কেন আসতে চাইছেন না সেটি জানতে আমরা তার সঙ্গে দেখা করতে চাই। এজন্য আমরা তার সঙ্গে দেখার আবেদন জানাচ্ছি। তার সঙ্গে আলোচনা করে জানাবো তিনি আসলে কেন আসতে চাইছেন না।

উল্লেখ্য, গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া দণ্ডিত হওয়ার পর থেকে পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন। এরপর থেকে তারিখ পড়লেও অসুস্থ থাকায় চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আদালতে হাজির হতে পারেননি খালেদা জিয়া।

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী। ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। এ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে এ মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।


এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি