বাংলাদেশ

খালেদা জিয়ার ফিজিওথেরাপি শুরু, মেডিকেল বোর্ডের সাথে সাক্ষাত বুধবার

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ফিজিওথেরাপি দেওয়া মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে। বুধবার তার সাথে দেখা করবে মেডিকেল বোর্ড।

মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহ আল হারুন তার নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। কোনো অবনতি হয়নি। আজ (মঙ্গলবার) থেকে তাকে ফিজিওথেরাপি দেওয়া হচ্ছে। সকালে খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধানসহ তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি টিম হাসপাতালে নিয়মিত রাউন্ড দিয়েছে।’

এই দলে পরিচালক আবদুল্লাহ আল হারুনসহ, মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক আব্দুল জলিল চৌধুরী ও আরেক সদস্য সৈয়দ আতিকুল হক ছিলেন।

আবদুল্লাহ আল হারুন আরো বলেন, ‘আগামীকাল (বুধবার) বিকেল ৪টায় মেডিকেল বোর্ডের গঠিত পাঁচ সদস্যই খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করবেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের চিকিৎসার বিষয়ে যাবতীয় ব্যবস্থাই হাসপাতাল থেকে যথাযথভাবে নেওয়া হচ্ছে। গতকাল(মঙ্গলবার) রাতে শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু হয়েছে।’

সোমবার বিএসএমএমইউতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মেডিকেল বোর্ডের প্রধান আবদুল জলিল চৌধুরী বলেন, ‘খালেদা জিয়া ৩০ বছর ধরে বাতের সমস্যায় ভুগছেন। যার ফলে উনার বাঁ হাত একটু বাঁকা হয়ে গেছে। মূলত তার গেঁটে বাতটা বেড়ে যাওয়ার ফলে এসব সমস্যা বাড়ছে। বাতের কারণে খালেদা জিয়ার যেসব ওষুধ যে পরিমাণে খাওয়া দরকার ছিল, ঠিক পরিমাণে তা খাওয়া হয়নি। যার ফলে এ সমস্যা শুরু হয়েছে। এ জন্য তার বাঁ হাত অবশ ও বাঁকা হয়ে গেছে।’

ডা. জলিল আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়ার প্রধান সমস্যা হলো গেঁটে বাত, কোমরে ব্যথা, মাজায় ব্যথা ও হাতে ব্যথা। এ ছাড়া তার বাঁ হাত বাঁকা হয়ে গেছে কিছুটা। এ ছাড়া তিনি ডায়াবেটিস, অ্যাজমাসহ নানা রোগে ভুগছেন। তার গিরায় গিরায় ব্যথা আছে, হাই প্রেসারের সমস্যা আছে। হাঁটু প্রতিস্থাপন করার কারণে হাঁটুতেও সমস্যা আছে। সেটিও কিছুটা বেড়েছে।’

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে গত শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তাঁকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়।

এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি