বাংলাদেশ

হাইকোর্টে রিট করার পর সিলেটে সমাবেশের অনুমতি পেল ঐক্যফ্রন্ট

সিলেটে আগামী ২৪ অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার গোলাম কিবরিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সিলেট জেলা বিএনপি সূত্র জানায়, জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের শামীমকে ফোন করে পুলিশ অনুমতি দেয়ার কথা জানিয়েছে।

২৪ অক্টোবর তারা রেজিস্ট্রি মাঠে সমাবেশ ছাড়াও ঐক্যফ্রন্টের নেতারা হযরত শাহজালাল(র.), হযরত শাহপরানের(র.) মাজার এবং মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানীর কবর জিয়ারত করার কর্মসূচি রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ।

এর আগে রোববার দুপুরে সমাবেশের অনুমতি পেতে হাইকোর্টে রিট করেন সিলেট জেলা বিএনপির সেক্রেটারি আলী আহমদ। সোমবার রিটের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

এদিকে ২৪ অক্টোবর বিকেলে সিলেট রেজিস্টারি মাঠে সমাবেশের অনুমতির সাথে ১৪টি শর্ত জুড়ে দেয় পুলিশ। শর্তগুলো হলো-অনুষ্ঠানস্থলে পর্যাপ্ত সংখ্যক নারী ও পুরুষ স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। রাষ্ট্রবিরোধী কোনো ধরণের বক্তব্য বা বিবৃতি দেওয়া যাবেনা। সামাজিক সম্প্রীতি নষ্ট করে কিংবা ধর্মীয় অনুভূতি বা মূল্যবোধের উপর আঘাত হানে এ ধরণের কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান বা কোনো ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা যাবে না। জনসাধারণের চলাচলের রাস্তায় কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।

নির্ধারিত স্থানে নির্ধারিত সময়ের (২টা থেকে ৫টা) মধ্যে কর্মসূচী শেষ করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে জনগনের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করার আশঙ্কা সৃষ্টি করে এমন বক্তব্য প্রদান করা যাবে না বা এরূপ কথা সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করা যাবে না।

মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহারের ফলে আশপাশের জনগনের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। ব্যাগ, সিগারেট, দিয়াশলাই, লাইটার ইত্যাদি নিয়ে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করা যাবে না। কোনো ধরণের লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র বা লাঠিযুক্ত ব্যানার ফেস্টুন ইত্যাদি বহন করা যাবে না। কোনো ধরণের বৈধ অস্ত্র সঙ্গে আনা/বহন করা যাবে না। সুরমা পয়েন্ট হতে তালতলা পয়েন্ট পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে কোনো গাড়ি পার্কিং করা যাবে না। অনুষ্ঠানস্থলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।

উল্লেখিত শর্তাবলির যেকোনো একটি বা একাধিক লঙ্ঘন/অমান্য করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ দর্শানো ব্যতিরেকে উক্ত অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।

এলএবাংলাটাইমস/এন/এলআরটি