বাংলাদেশ

অপরাধীকে কোনোভাবেই ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, অপরাধীকে কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। অপরাধী ব্যক্তি সমাজের অধিপতি হোক, রাজনীতিবিদ কিংবা জনপ্রতিনিধি হোক সে ছাড় পাবে না।

তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। এটা বাস্তবায়নে সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।

রোববার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) এক অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

নারকোটিকস ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমসের উদ্বোধন উপলক্ষে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ডিএনসি অডিটোরিয়ামে ওই অনুষ্ঠান হয়। কোরিয়ান সরকারের অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

ওই অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্যাসিনো ও মাদক কারবারে জড়িতরাও প্রার্থী হয়ে নিজেকে জাহির করে টিকে থাকতে চায়। যারা মাদক বিক্রি করে অন্যায়ভাবে টাকা উপার্জন করে, তারা সেটি অন্যায়ভাবেই (ক্যাসিনোতে) ব্যয় করে। তবে অপরাধীদের ছাড় নয়।

মাদকবিরোধী অভিযান স্তিমিত হয়ে গেছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযান মোটেও স্তিমিত হয়নি। যারা মাদক ব্যবসা করে, মাদক ব্যবসায় বিনিয়োগ করে, বড় মাদক সম্রাটদের সবাইকেই ধরা হয়েছে। কেউ বাইরে থাকলেও ধরা পড়ে যাবে। এসব কার্যক্রমের পাশাপাশি দেশে মাদকের চাহিদা কমানোর চেষ্টা চলছে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক তৈরি হচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, একটা ছোট জায়গায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করে। তাদের ম্যানেজ করা অনেক কষ্টের। অবশ্য সেখানে মাদক তৈরি করার তথ্য নেই। ক্যাম্পে সবসময় নজরদারি থাকে। রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ বাইরে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশে মাদক উৎপাদন হয় না জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এর পরও আমরা ভিকটিম হচ্ছি। প্রতিবেশী দেশ থেকে মাদক আসে। মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের কিছু সীমান্ত অরক্ষিত রয়েছে। মাদক কারবারিরা সেই সুযোগটা নেয়। তবে সেটি বন্ধে বিজিবিকে হেলিকপ্টার দেওয়া হয়েছে। দুর্গম সীমান্তে টহলের জন্য রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। এ মাদক বন্ধে কোস্টগার্ডকেও শক্তিশালী করা হয়েছে।

এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও কোরিয়ান সংস্থা কইকার সহযোগিতায় তৈরি নারকোটিকস ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমসের উদ্বোধন করেন। এ ওয়েবসাইটটির মাধ্যমে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা যে কোনো জায়গা থেকে অনলাইনের মাধ্যমে মামলার ফলোআপ, লাইসেন্স ম্যানেজমেন্ট, স্যাম্পল অ্যানালাইসিস ম্যানেজমেন্ট, অপারেশন ও হসপিটাল ম্যানেজমেন্টের কাজ করতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে 'মাদককে না বলুন' বিষয়ক একটি ভিডিও প্রচারেরও উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে ডিএনসির মহাপরিচালক জামাল উদ্দিন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের মাদকদ্রব্য অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব তরুণ কান্তি শিকদার, কোরিয়ার মাদকদ্রব্য বিভাগের পরিচালক উন যাই ও কইকার কান্ট্রি ডিরেক্টর জো ইয়ং ইউ প্রমুখ বক্তব্য দেন।