বাংলাদেশ

র‌্যাবের গুলিতে পা হারানো সেই লিমন এখন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক

২০১১ সালে ঝালকাঠির রাজাপুরে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে পা হারানো লিমন হোসেন এখন আইনের শিক্ষক। সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে শিক্ষকতা করছেন তিনি। একই প্রতিষ্ঠানে আইন বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাস করেছেন লিমন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘র্যাবের গুলিতে পা হারিয়েছিল ঝালকাঠির অদম্য তরুণ লিমন হোসেন। তারপর এর বিচার চেয়ে সে এক অসীম সাহসী লড়াই লড়েছে অনেক বছর।’

তিনি বলেন, ‘এ দেশে বড় বড় কথা বলা মানুষ আছে, আছে মানবাধিকারকর্মী, সুশীল সমাজ। পত্রিকাগুলোর পাশাপাশি তাদের কেউ কেউ প্রথম দিকে লিমনের পাশে ছিল।’

‘কিন্তু লিমনকে সযত্নে গড়ে তোলার বড় দায়িত্বটা পালন করেছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী-ই। তার গড়া গণবিশ্ববিদ্যালয়ে লিমনের পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছেন।’

ঢাবির এ অধ্যাপক আরও বলেন, ‘লিমনকে আমার ‘মানবাধিকার’ বইটি উৎসর্গ করেছিলাম। ফোনে তাকে এ কথা জানাতে গিয়ে জানলাম, সে এখন গণবিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক! এ আনন্দ রাখি কোথায়!’

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ২৩ মার্চ বিকালে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার জমাদ্দারহাটে র্যাবের অভিযানের সময় লিমন হোসেন গুলিবিদ্ধ হন।

তিনি জানান, র্যাব সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে পায়ে গুলি করেন। এর কয়েক দিন পর ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকরা তার বাঁ পা কেটে ফেলতে বাধ্য হন।

উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার মাত্র ১২ দিন আগে এ ঘটনা ঘটে। তখন লিমনের বয়স ছিল ১৬ বছর। সে বছর আর পরীক্ষা দেয়া হয়নি। তবে দমে যাননি লিমন। চিকিৎসাধীন পড়াশোনা করে পরের বছর পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার কাঁঠালিয়া পিজিএস বহুমুখী স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৪ পান তিনি।এরপর ভর্তি হন সাভারের গণবিশ্ববিদ্যালয়ে।