বাংলাদেশ

লেখক মুশতাকের মৃত্যুতে ক্ষোভ: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি টিআইবির

কারাবন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। মুশতাকের মতো একজন মুক্ত চিন্তার প্রতিবাদী লেখকের মৃত্যুর দায় কার?—এ প্রশ্ন সামনে রেখে সংস্থাটি বলছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি করে প্রভাবশালী গোষ্ঠীর হাতে ভিন্নমত দমনের মোক্ষম হাতিয়ার তুলে দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার সংস্থাটির এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, একই মামলায় অন্য অভিযুক্তরা জামিন পেলেও ছয়বার আবেদন করা সত্ত্বেও মুশতাক আহমেদের জামিন হয়নি। মৃত্যুর কারণ তদন্তের উদ্যোগ নেওয়া হলেও বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা ব্যক্তিবিশেষ অপব্যবহার করছে কি-না, সেটা খতিয়ে দেখা উচিত। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও তার অপব্যবহার যে মুশতাকের মৃত্যুর কারণ, একথা সরকার অস্বীকার করতে পারে না।গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য বলছে, ২০২০ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে ৪৫৭ ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে ১৯৭টি মামলা হয়েছে, যেখানে ৪১টি মামলায় ৭৫ জন পেশাদার গণমাধ্যমকর্মীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই আইনের করা মামলার অধিকাংশেরই বাদী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নয়তো ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী।

ড. ইফতেখারুজ্জামান আরো বলেন, সরকারের সমালোচনা করা নাগরিকের অধিকার, তথা মতপ্রকাশের অধিকার। এটা অপরাধ বলে গণ্য হতে পারে না। একইসঙ্গে, রাষ্ট্র ও সরকার যে দুটি ভিন্ন সত্ত্বা তাও একাকার করার কোনো সুযোগ নেই। সরকারের কাজের সমালোচনা করতে ব্যক্তি যে বাকস্বাধীনতার চর্চা করেন, তা কোনো অর্থেই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যায়িত হতে পারে না। সমালোচক মূলত দেশের ও দশের কল্যাণে একটি কার্যকর জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা দেখতে চায়।   এলএবাংলাটাইমস/এলআরটি/বি